শানু চৌধুরী-এর কবিতা
প্রতিশোধ
উৎসর্গ- কুয়েন্টিন টারান্টিনো
১.
নিখাদ তলোয়ার তুমি তুলে নিয়ে সেজেছো সামুরাই।
যে সাদা রঙে চিরাগ ও অহংকারের রক্ত লেগে থাকে
তাঁর সম্মান তুমি দেখেছো তুষারঝড়ের লৌকিক কিমোনোয়।
আমি ক্ষমা চাই। নির্মাণ ও ধ্বংসের জলে পড়ে থাকা সফেদ শয্যায়!
বরফে রক্ত তবে কার?
যে রক্ত অহেতুক দম্ভ এনেছিল পরশপাথর ও চুলের বর্ণনায়।
কাটা মাথা পড়ে আছে তবু হাঞ্জোর স্বপ্ন তোমার চোখে বসে আজও।
এখন চরায় আটকে যাচ্ছে রক্তের মাথাগুলো।
ঝরনা হয়ে ফুটেছে দ্বিধাবিভক্ত কফিন নিজের পথচ্ছায়ায়।
এই যুদ্ধ তবে কার?
ক্ষমা ও প্রতারণায় তুমি জাল করেছো বিবেক।
লজ্জার গর্ভে রেখেছো ছেঁড়া ছেঁড়া মনস্থ অবয়ব
যেখানে মৃত্যুফুল বলে যায় কোনো মেয়ের
প্রতিশোধের আকাশে আজও বলিষ্ঠ হয় চোখের যোগ্যতা।
২.
বাঁশির সুরে টোকা দিল আহত কফিন
যখন প্রতিটা পেরেকের নিথর আলো দেখেছিলে তুমি
তবু বলে দাও ফুসফুস বেঁকে গেলে
গীর্জার কাঠামোয় বিবাহের মহড়া দিয়েছিল কেউ
এ গোলাপজল অথবা কোলনের শান্তস্মৃতি
তোমার পোশাক ও পর্দায় আড়াল রয়েছে যতটা
তার ভূমিকা কতদূর বলে দিও আমায়…
খুনির শরীর থেকে পাইন কাঠের গন্ধ ঝরে গেছে
যতদূর লেগেছিল অস্ত্রের বাট ও সফল তড়িৎ
সেখানে শাদা পদ্মের সংঘ লাগেনি আজও
সুরের সরগমে তাকে আজও হৃদয়ের দক্ষতা বলে ডাকি
শরীরে সান্ত্বনাহীন হত্যাকান্ড যদি লিখে রাখা যায়!
একবার দেখে নিও হাতের পাতায়
নামান্তর হয়েছিল হয়তো কোনোদিন!
৩.
জারজের পচন দ্যাখো তুমি
যেখানে ব্যথার উপাদানে পরিণত ছিল এক বয়স্ক ঠাট্টা
অথচ ককেশীয় ঘৃণা তোমার সরীসৃপে
প্রভেদ গড়েছে আজও
হে দয়ার্দ্র জিভ যেখানে ঝুলে আছে হাস্যস্পদ চেহারা
তাকে আগুন দাও তুমি
তোমার শত্রুর দূরত্ব তোমার সমভূমিতে আজও
হাতের চামড়া সরিয়ে রক্ত ফেলে প্রতিবর্ত ক্রিয়ায়
তুমি ভাবতে পারোনি বৃষ্টির নেপথ্যে নষ্ট হতে পারে
ভাতের গন্ধের তুলনা
কিন্তু কোনও গর্ভবতী রাত এখনও ছেড়ে যায়
খুশির বেদনায় সন্তানের আঁকড়ে ধরা…
[টারান্টিনোর কিল বিল ছায়াছবির বিশেষ কিছু দৃশ্য প্রায়ই আমার মস্তিষ্কে দুঃসাহসিক বাসনার সৃষ্টি করে, সেই চিন্তন থেকেই এসেছে এই তিনটি কবিতা]
Posted in: December 2019, Poetry