বিশ্বরূপ বিশ্বাস-এর কবিতা

নিরীশ্বরবাদী নির্ধার

অ্যাতো বিশুদ্ধ ভাবে ধনুকের আর কবয়ীর দিন এলো
যে পৃথিবীতে আর কোনো বিখ্যাত অশান্তি ঘটলো না
কাফেরের। জীবনের কেউ-ই যথেষ্ট ভাবে নেই তবুও
কবর্গীয় টাটকা। খাটাল অগ্রাহ্যকরণে ডুবুডুবু এ
ঝমোঝমো দুর্লভ মাতোয়ারা ডালি। ডালকুত্তা যত
পোস্টমাস্টার। ওগো প্রাচীন সমপ্রাচীন তুমি কাহার
ডিক্রিজারি সরসিত অর্বাচীন। গেয়ো না সখী ডুবিবে
লীলা হানিয়া নীরে পীরের দরগা। হৃদি সত্যপীর রৃদি
সত্যপীর। জহর যেথা রাতের কেশে ডুমুরগাছে হাসছেন হেসে

যায় ডিবেঞ্চার হায় জলমগ্ন ডুগডুগি। ডিসেম্বর ডিসেম্বর
নিরীশ্বরবাদী নির্ধার। গোটাহীন খাটমাঠ গাঁয়ের কোনো
মাছতফাৎ। গ্রাহক সমস্ত শতেশ্বরী দ্বিধাকে কারণে
ক’রেছে ফিদা হোসেন। ঝিঁঝিতে জানিয়ে দিলে
ঝিঁঝিঁপোকার হাঁক নাই। চল কানাই কামাই ক’রি স্কুল
সবাই। অন্ধকার বেড়ে বেড়ে অস্ফুট স্বরে শ্যামল যত
ঘরে ঘরে চমকে ওঠে ভাই। বল কানাই ক্যানো নাই
তোদের ময়ূরাক্ষী ওদের খোকাখুকু

প্রতারক হয় প্রচারক তবে-ই কি সাঁইটুকু। গোঁসাই ঢলো
বাদবিসংবাদ-কুঁজো বাদ। গলায় ঝগড়াঝাঁটি মেনে করে
কি ভাই কথার ঝগড়া খুশীতে। এ বিরক্তি তুষিতে বেড়াল
হবো জাঁকজমক। মা দিব্যি আসছেন। বাবা সিদ্ধি
পাচ্ছেন। সিঁড়ির ঘুমিয়ে ডাকা লকআউট বাদশাহজাদী।
মাঝেমাঝে যতক্ষণ হবো ব’লে-ই ততক্ষণে কাঁদি আমি
সারাদিন। মেঝেয় ধ’রে যায় আমার চোখের কুকুর
হেঁড়ে। কলসিতে প’ড়ে যায় আমার খাঁচার দাঁড়। আমার
সান্তার হাড় দুচ্ছাই-বাতিদানে হ’য়েছে সোনারহার
আরেক সান্তার হৃষ্টান্তকরণে হাজার হাজার সান্তা সবজান্তা।।

Facebook Comments

1 thought on “বিশ্বরূপ বিশ্বাস-এর কবিতা Leave a comment

Leave a Reply