অনিন্দিতা গুপ্ত রায়-এর কবিতা
কার্নিভাল
নদীখাতের মরে যাওয়ার ভিতরে কুয়াশা এত ঘন যেন সাদা দেওয়াল, অথচ প্রতিধ্বনি ফিরে আসার গল্প নেই। অদৃশ্য লেখচিত্রের ভিতরে কিভাবে দৃশ্যায়িত হয় ইতিহাস এবং ভূগোল, তাহাদের শর্তাবলী—সেসবই অমোঘ জেনে আমি স্থিরবিন্দুর দিকে গড়াই বরফ বল। ঘর্ষণের প্রাক শর্ত মত বড়ো হতে হতে হতে হতে পৃথিবীর সমান সেই হিম শিহরণ তোমাদের অন্ধতাকে ভেদ করে স্পর্শের গভীরে বাসা বেঁধে বসে। তখনই আগুন! আহা আগুন কুড়োবার ছল কোলকুঁজো হয়ে থাকা ভিড়ের মাথায় ফণা তুলে শিস দেয়। এই তো সময়—এইবার লাল নীল বেলুনের, ক্যান্ডিফ্লসের গোলাপির কথা বলা যাক। এমন শীতের বেলা, অবেলায় ভাত ঘুমে কুকুরকুণ্ডলী থেকে ঝেড়ে ফেলা যাক তবে বাতিল পশম। শপথ বাক্য পাঠ করবার আগে চোখে চোখ রাখবার কথা ছিল। শরীরী মজ্জা থেকে ঘুণপোকা বেছে বেছে পোড়ানোর কথা ছিল প্রকাশ্য পথে। কথা ছিল আলোর ভাষান্তরে লিখে নেওয়া বৃন্দগানের মিঠে বোল। সেসব হিসেব বুঝে নিতে সমুদ্র রাস্তায় উঠে এলে পারদ স্তম্ভ অকারণ নেমে যায় শুধু হু হু। অবসন্ন দিনলিপি থেকে আমি ব্যঞ্জন আলাদা করে সেদ্ধ ভাতের মত সাদা স্বর মেখে রাখি মাখনে মরিচে। তোমার বুকের স্বেদে যে জলজ সোঁদা মাটি ঘ্রাণ এতটা দ্রাঘিমা হয়ে থাকে, সেইখানে প্রার্থনা রেখে আসি রোজ। সেখানে আসেনা কেউ—হাওয়া বা মোরগ। শুধু প্রতিটি স্পর্শের কাছে অনুচ্চারিত কিছু সংকেত থাকে। ভ্রমণকাহিনীর শেষে হারানো নূপুর আলগোছে রাখা থাকে বুকের দেরাজে—আমি জানি। তত দূর আলো ও রুটির কথা লিখতে লিখতে মৃগয়া প্রবণ এই বেঁচে থাকা সহনীয় হোক!
Posted in: Cover Story, December 2019
বাঃ!
বাব্বা
ভালো লাগলো…