দীপ্ত প্রসাদ সিংহ-এর কবিতা

১. — পাথরের ভেতর সাঁতার কাটতে না পেরে
ক্রমশ ভঙ্গিল বলে যে মাছকে রক্ষাকর্তা বলে মানতে পারনি
তুমি স্রেফ বরফের অন্ধকার থেকে জলের অন্ধত্বে দেখছো?

নদী কেমন করে এঁকেবেঁকে এগোয় ব্যাঙের কাছে

ব্যাঙ বলতে এখনো মনে পড়ে?
লুকানো রাস্তায় তোমার জোনাকি তোমায় পথ দেখাচ্ছে না

২. — দূরবর্তী কোনো তারার দিকে তাকাই
তারাকে বাদ্যযন্ত্রে কিছুতেই ধরা যাবে না
ভেবে
বিপদের আগেই নাড়ি কেটে রাখা ডাক্তার
পূর্বপুরুষের পদচিহ্ন জমিয়ে রাখে

৩. — আগুন জ্বালালে পোকা এসে যায়

আগুন জ্বালালে
বাবার মুখে আলো পড়ে

কাঠগড়া পুড়িয়ে শৈত্য প্রবাহ থামেনি

অভূতপূর্বের ডানা উড়িয়ে নিয়ে যায় ভূতপূর্ব টিকটিকির খিদে

8. — কীভাবে বাড়ি যাওয়া যায়?
একটা কুকুরের ঘায়ের মধ্যে আমি যে মানচিত্র খুঁজছি
তাও আমাকে এইরকমই একটা প্রশ্নের দিকে নির্দেশ করছে

কোনো অনভ্যস্ত বাচ্চার হাত থেকে কী আমার সাইকেল
বারবার পড়ে যাচ্ছে?

শুকনো ঘা
পাস্ দিতে গেলে বল আচমকাই লাফিয়ে যায়

Facebook Comments

Leave a Reply