চৈতালী চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা
অনাবাসি
তিনবার কবুল বললাম!
ফোর্থবার তোমার ঠোঁটের নকশা ছুঁতে গেছি যেই,
পানিচুক্তি আমাদের মধ্যে, কী একটা শূন্যস্থান এনে দিল।
ওটা পার হয়ে আমার আঙুল আর এগোতেই পারছে না!
মা সেই কোনকালে বলত, বাসন আলাদা করে রাখ-
ইয়াসমিন আসত যখন।
মনে পড়ে গেল।
বিবাহোত্তর পর্বে, বিফকাবাবের গল্পও
রূপকথা হয়ে গেল।
ভূত নাচছে সীমান্ত বরাবর।
হৃদয়ের পূর্বগগন বরাবর।
সূর্য ফুটল না আজও।
কাল ভোরে, উঠেই তোমাকে, এই জন্মের মতো, কোথাও একটা,
চলে যেতে হয় যদি…
আজ আমরা তবে, কীভাবে আদর করব
বল দেখি
আকাশচারিণী
আশশেওড়ার গাছে যে-মহিলা উঠে যাচ্ছেন,
শরীর নেই তাঁর, আমার পিতামহী ছিলেন।
খালবিল ছেড়ে, আমরা তো কবেই লেক-ভিউ
ফ্ল্যাটে উঠে এসেছি।
উনি রয়ে গেলেন, গ্রামেই।
পদ্মকাটা দুধের বাটি। বিপ্লবীদের আনাগোনা।
পিসির উন্মাদনা।শোনা হয়ে গেলে,
আমি জানতে চাইতাম, চণ্ডীপাঠের মুখে
কীভাবে চাঁদমালা দুলে ওঠে! সেই গল্পকথা।
দেড়শো বছরেও মাটি একই আছে।
আজ শুধু কেঁপে-কেঁপে ধরিয়ে দিচ্ছে ভয়,
ভুলিয়ে দিচ্ছে সব আত্মীয়স্বজন, লৌকিকতা…
ওরা প্রমাণ চাইল যখন –
কার্তিক মাস। আকাশ প্রদীপ জ্বলছে।
হালকা, শীত-বসা গলায়, ভাবি,
গ্রাম থেকে তুলে-আনা শেকড়বাকড়,
ওই আলোটার নীচে রেখে যেতে বলব,
তোমাকে, মাম্মাম?
Posted in: Cover Story, November 2019