রোয়াল্ড হফম্যান-এর কবিতা অনুবাদ – অনিন্দ্য রায়
অষ্টম কিস্তি
শম্বুকবিদ্যা
( Malacology )
স্টিফেন জয় গৌল্ড-এর জন্য
একটা শামুকের ভেতরেই
সম্পূর্ণ পৃথিবী !
সত্যি ?
বাহ্,
পৃথিবী হল
মনন থেকে বস্তুতে
দেওয়া/নেওয়ার
এক ঘুর্ণি
বলতে চাইছ
পৃথিবী
শামুকের খোলের
মতো – আমার শামুকেরা যে
ঘুরপাক খায় না
সনসময়ই
মাঝপথে আ-
টকে দিচ্ছ তুমি, একটা
শামুকের ভেতর –
ধীরে
অথবা
ধীরে না
এটা তো প্রশ্ন নয় ।
কী-টা হল তো
বস্তু কী, কীভাবে
তা ভুড়ভুড়ি কাটে
দোল খায়
আর মন ?
হ্যাঁ। তা হল
আকাঙ্ক্ষা
এলোমেলো
গ্রহাণুদের জন্য
দুশ্চি-
ন্তার,
নিশ্চিত করা যে
সুতো জট পাকিয়ে থাকবে
আর তুমি তোমার টেডি বিয়ার
খুঁজে পাবে না ।
কিন্তু একটা শামুক –
কতোটা গ্রন্থিময় সে
এটা কোনো ব্যাপারই নয় । তার সব
জৈবরসারণ কি
প্রদর্শিত হয় ?
এটাই তো আমি
বলতে চাইছি
প্রথম থেকে
একটা শামুকের ভেতরেই
সম্পূর্ণ পৃথিবী ।
শিল্পকলা আর বিজ্ঞানের পার্থক্য
( The Difference Between Art And Science )
জর্জ কালাডো-র জন্য
মুঙ্কের আঁকা এই ছবি
সেতুর ওপর যন্ত্রণাতুর কেউ
কানে চেপে রেখেছে হাত, দর্শক
এই ছবি থেকে চেঁছে নিতে পারেন কমলা
অতিসূক্ষ্ণ দাগ, সেটা একটা স্লাইডে
নিয়ে তিনি সূক্ষ্ণ টিউন করতে পারেন
দ্রুতগামী রশ্মিদের, যা গাড়ি-রাখার জায়গা
আর ফুটবল মাঠের তলায় তৈরি করে বলয়
চুম্বকদের হাতহীন ঠেলায় খোঁচা লাগিয়ে
ফোকাস করতে পারেন, যেন
এই তাঁর কলাকৌশল, তল্লাশি-কণারা
( শৌখিন ক্রমাঙ্কিত পাথরগুলি )
ছবিটিতে কর্কশ চিত্রলেখের
অভিঘাতে । আর্তনাদের
শক্তির জন্য এই খোঁজ ।
কিন্তু কণাগুলির কৌতূহল
এতোই জোরালো – তারা রঙের অণুদের
ঝাঁকিয়ে আলগা করে দেয়, শব্দে
অনিশ্চয়তার সূত্রের চাক্ষুষ
প্রমাণ । ছবিটি ঝুলে থাকে;
নরওয়ের আকাশ আর বন্দর
চিৎকারটি তুলে নেয়, ক্ষেপন
করে দর্শকের খুলির ভেতর। সেখানে
প্রতিধ্বনিত হয়, প্রভাব বদলে যায় ।
Posted in: November 2019, Translation