প্রসূন সমাজদ্বার-এর কবিতা
কবিতা-এক
রাত অবয়বে নির্জন হই
আমন্ত্রিত মেহন তুমি
অন্ধকার গভীর ঠমকে
আমার অভিশাপ শুকতারা উজ্জ্বল।
আমার মহলে আমার চিরন্তন
নিদ্রা বিহীন বাঁশি প্রহর
পেঁয়াজ শলাকায় লেগে ছিল অভিমান
শ্বেত স্বেদ বিন্দু।
সকল বিন্যাস পেতে দাও
শিহরণ চন্দ্র কলায়
অশরীরী কম্পনের।
আমি শেকলে তালা হয়ে আছি
নড়বড়ে দোচালা সকাল
অদ্বৈত আতপ গন্ধ
রোদ হয়ে থাকে।
কবিতা-দুই
অনাগরিক
মাংসের ক্যাম্প দূরে সরে গেছে
তাই
ফানুস উড়ে গেলে শ্মশান হয় একা।
সেখানে
ভুস করে ভেসে ওঠা নদীর চর
চরে আছে বন, বনে থাকে হাড়
হাড়ে নেই লেখা শিকড় হিসেব।
ও মসি তোর ঘর কুনঠি?
ও মসি তুই গান শোনাক নি!
ও মসি তুই বৈঠাল বাইবু নি?
নক্ষত্র উজ্জ্বল —– এখানে লগির
ছলছলে অণুদেশ কাঁটাতার ঘেরা।
এসময় তুই বালিশ বালিশ খেলিস
নাভিপদ্ম ফুটে থাকা কেউ মেয়ে
তোর জড়ানো উঁরুদেশে ওর হানাবাড়ি
ঘরপোড়ে স্তাবক শব্দকূট।
কবিতা-তিন
বিষন্ন চা কাপে সেখানে গুঁড়িরা বিশ্রাম নেয়,
এমন কোজাগরী সন্ধ্যা রোজ নেমে আসে
হালের গভীরে, মাটির দাওয়ায় যেখানে ছড়িয়ে আছে মেঘের দেশ,
দেশের নাভি
নাভির চন্দ্র
চন্দ্রের শুক-সারি।
দু হাঁটু বয়সে
জারিয়ে নেওয়া দ্বীপান্তর, কুটোর অপাচন। স্থবির শ্লেষে তাই ভুলে গেলে পিঠুলির কথা! হাতের মুদ্রায় চাল গুঁড়ো
মিঠেকড়া তালক্ষীর
ক্ষীরের জেগে ওঠা
উপচানো মেয়েটির ঘ্রাণ !
সুঘ্রাণ কবে ছেড়ে গেছে এই জনপদ
মেঠো শান্তি তাই বিরাজ অবিরাম।
একটি জলজ ফুলে তখনও অলস
ভৈরবী,একটি ঘাই তখনও আকাশ ছোঁবে
বিচ্যুত শুধু একটি সলজ আগমণ
অবশেষ ধুধু নগর কঙ্কাল।
Posted in: October 2019, Poetry