অভিষেক নন্দী-এর কবিতা
হাফ হাতা পৃথিবী
খালি গায়ে পড়ে আছে চণ্ডাল সোয়েটার…
মৌচাক থেকে ঘাড় ধাক্কা খেয়ে বার হওয়া বাঁশি
গায়ে জড়িয়েছে চাবুক
দ্যাখো, কৃষ্ণ আড়াল করছে তার তুলতুলে নাভি…
এই সুরঙ্গনদী কাঁটাচামচের ডগা; ক্রমে ক্রমে
ঝন্ঝন্ শব্দে বেজে উঠেছে গল্পে বাঁধা লেখকের কংকাল—
বরফ ভেঙে আসে মুহূর্তে
অর্ডার দেওয়া ফিশফ্রাই নিশ্চয়ই জানিয়ে দেবে
খালি গায়ে পড়ে থাকা সোয়েটারের ভেতর আমরা, আর
আমাদেরই ভেতরে বাড়িভাড়া খুঁজছেন প্রকৃত শিল্পী
মৃত ফুলদানি
পিঠভরতি বিক্রি হয়ে যাওয়া খেলনা থেকে
উঠে আসেন খেলনা-বিক্রেতা,
তুমি আর আমি গোখরো সাপের ফণা পেতে বসে
একে অপরকে শিখিয়ে দিচ্ছি—সংসার কোনো খেলনা নয়!
নামতে
নামতে
নামতে
বহুরাত্রে পায়েসের বাটিতে মৃত ছায়া লুকোতে গিয়ে
বাড়ি-মালিকের অভাবকে চুরি করতে দেখেছি
আমাদের ফাঁকা উঠোন…
কলকল শব্দে জন্মদাগের ভিতর বিধবা উটপাখির ছাদে উঠে
চাঁদের মিমিক্রি করতে গিয়ে বুঝি—
জন্মলগ্ন থেকেই অন্ধ হয়ে ওঠে ‘বিষ’…
যদি খাদক তার প্রিয় মুখ হয়, এই ভয়ে!
এক চোখের চশমা
পেরেক থেকে খসে পড়ছে কাঠঠোকরার জিভ—
নাম দিই আকাশ…
এই হেলে পড়া অমৃতগর্ভ মাংস চায় না, চায় না পোষা গরুর দুধ
বিস্তীর্ণ পাতাল জুড়ে বসে রয়েছে
অজস্র নুড়িহীন দেড়-আঙুল জলের কলসি—
এই ‘সস্তা’ গন্তব্যের চেয়েও দামি, অথচ
হঠাৎ খবর পাই– পৃথিবীর সমস্ত খরিদ্দার বিক্রি হয়ে গ্যাছে
Related posts:
Posted in: October 2019, Poetry