তন্ময় কুমার মন্ডল-এর কবিতা
১.
শরীর বেয়ে উঠে যাচ্ছি
একটা ভাত-রঙা প্রজাপতি
আর ধোঁয়া ধোঁয়া ভালোবাসা
পরস্পর গল্প করতে করতে চলে গেল নীচে
নীচে কি আরো ভালো শহর আছে!
অহম পুরুষ-৭
ক্রমাগত দরজা খুলে তথাগত এলেন। চেয়েছিলাম এভাবেই হোক- জল পড়ার শব্দে নড়ুক স্থানের কিনার; বেঁকে থাকা তথাগতের নৌকো, আমি তাকে গোলাকার আঁকি
এক সূক্ষ্ম ফুটো দিয়ে এইসব পরিচালনা করি, দেখি পিঁপড়ের পা নিয়ে পিঁপড়ে ফিরে যাচ্ছে। তার ছায়ায় ক্লান্ত তথাগত ফণা নামিয়ে বললেন- এরপর আর কী করতে হবে, বিকারের দেবতা?
কান্নার কাছে আমি আনত। দৃশ্য থেকে আলোহীন অনুভব করি।
আমার অবস্থান নিয়ে তথাগতের ষড়যন্ত্রে আমি ওর সঙ্গী ছিলাম। কিভাবে যেতে হবে তার বিভ্রম তৈরি করেছিলাম, ক্রমাগত ক্ষীণ ও পরবর্তী-স্থূল ত্রিমাত্রিক সেই ছায়ায় আমি বলে কেউ নেই, ক্রমাগত আমির মৃত্যু ও জন্ম।
একটি চারাগাছ রচনা করার পর, বলেছিলাম এই হল বোধিবৃক্ষ। তথাগত কোনো বিরোধ করেননি। কেবল একটি ছায়াকে ক্রমাগত গাছ হতে দিয়েছিলেন।

পরিচিতি : জন্মসাল – ১৯৮৪। পেশায় শিক্ষক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ – ‘শূন্যপিটক’। সম্পাদনার সাথী – ‘রেহেল’। কবিতা ছাড়া রীতিমত সিরিয়াস মঞ্চ অভিনেতা।
Posted in: Poetry, September 2019
দু’টো কবিতারই শেষ আছে কিন্তু শেষবিন্দু নেই … মুক্ত … ভালো লেগেছে।