শতানীক রায়-এর কবিতা
প্রতীক
হারিয়ে যাওয়ার জন্যই আমাদের জন্ম। তবুও তো বাঁশি হয়ে উঠি না কখনও। ধুর শব্দ ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে তুমি যে একটা কথা বলেছিলে, একদিন হঠাৎ ওরকম হলে পৃথিবীর সময় বাড়ে না। ওহো, বলতে পারছি না কেন শব্দের ভেতর কী ছিল কেন হারাচ্ছি বারবার প্রতিকারহীনতা একটি রোগ পুড়ে যাওয়াও একটি মাটির নৌকার প্রতীক। হারাচ্ছি তাই আবার শরীরের উপর সাজাচ্ছি কাঁকড়া ফল কাটা মাথা অথবা নির্জীব মাংস। এখান থেকেই আবার কথা ভেঙে অনেক দূরে সরে গেলে কোথায় যাবে আমার সমস্ত কবিতা?
যক্ষ
আবার তো বিকশিত হবে তুমি
আমার শরীর পুঁড়ে শেষ হলে
শুধু অস্থি নিয়ে থাকবে তুমি।
অনেক অনটন আর মেঘবিন্দুর মধ্যে দিয়ে
যখন যাও তখন অনন্তে যাও
ভুল এবং ভ্রমের একটি নিপুণ ফুল দিয়ে তৈরি আমি,
আমার লক্ষ বছর কেটে যাচ্ছে
বিকেল পেরোতে পেরোতে
বহু মানুষ পাতার আড়ালে পড়ে যাচ্ছে
এবং এই বিষ কোথায় রেখে যাই বলো
তীর্থের কাকের কাছে বলো,
‘মোক্ষ নেই মোক্ষের মতো মানুষ নেই’
তরল চিনি উড়তে থাকে
উড়তে উড়তে মানুষের শরীরে
যক্ষের জন্ম হয়।

পরিচিতি: জন্ম – ২৩.০১.১৯৯৩। বসবাস করেন মালদাতে। কবিতা প্রয়াস – ২০১১ সাল থেকে লেখালেখি শুরু। কাব্যগ্রন্থ: ‘নৈঃশব্দ্যের বন্দনা’ (২০১৬), ‘না-আমি’ (২০১৭), ‘মাংস মায়া আর আদ্যানদী’ (২০১৮)।
Related posts:
Posted in: Poetry, September 2019
ভালোলাগলো।
দারুণ !
ভালো লেগেছে দুটোই।❤