সৈকত দে-এর কবিতা
জীবনের মূল সমস্যা
জীবনের মূল সমস্যা মূলত ডাটা ট্রান্সফার জটিলতা। আমি আর তুমি পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ করে বসে রইলাম আর কোনো চঞ্চলতা বোধি প্রেম সঞ্চারিত হলো না,কোনো প্রেয়ারেই হায় চলবে না সেই ডাটাকোরাপ্টেড ছায়াছবি।
সেমিমেজর সমস্যা প্রবেশ প্রস্থান। ঠিক সময়ে স্থাপত্যে কিংবা শূন্যতায় প্রবেশ কিংবা প্রস্থানের উপর নির্মিত এই গায়ের জোরে জাপ্টে ধরে সম্মতি আদায়নির্ভর দুনিয়া। নইলে মিসাইল গুমখুন কন্টিনিউয়াস রেপ চলবেই।
ঢুকতে পারা বা না পারায় মিশে থাকে মন খারাপ, আত্মসম্মান কিংবা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি।
কবি নিত্যধন খাড়া সম্পর্কে
কবি নিত্যধন খাড়া অত্যন্ত নিভৃতচারী কবি। উনি কবিতা লিখে কাগজটি জঙ্গলের গাছে সেঁটে দেন। তিনি মনে করেন, আস্ত একটা জঙ্গলের সব গাছে যখন তাঁর সব কবিতা সাঁটা হয়ে যাবে সেটিই হবে তাঁর কাব্যসমগ্র। তিনি নিশ্চিত, পাখি আর গাছ আর পতঙ্গেরা তাঁর পরম পাঠক। পাখি মানুষের অক্ষর বোঝে তিনি নিশ্চিত। পতঙ্গেরা তাঁর কবিতার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে পড়ে কবিতা আর গাছ পড়ে ত্বকে কবিতাটির ছোঁয়া নিয়ে।
ব্যক্তিজীবনে তিনি মাছ চাষ করেন এবং অবিবাহিত। মাঝে মাঝে টাকা দিয়ে ভালোবাসা কেনেন আর যৌননিরসনের সাথে খানিক অপরাধবোধ মিশিয়ে নিয়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁর প্রিয় ঋতু শীতকাল আর প্রিয় রঙ রঙধনুর। তাঁর একটি জীবনী লেখার কাছে নিজেকে নিয়োগ করেছি। সেটি জমা দিলে তিনি স্বনির্মিত কাব্যজঙ্গলে আমাকে আমন্ত্রণ জানাবেন বলেছেন।

পরিচিতি : জন্ম নোয়াখালী এবং বেড়ে উঠা চট্টগ্রামে। কবি এবং গল্পকার হিসেবে পরিচিত। বই পড়ে এবং ফিল্ম দেখে দিনযাপন করেন। প্রকাশিত বই চারটি – ‘বিস্মরণবিরোধী গল্প’, ‘শৌখিন হস্তশিল্প’, ‘উদাসীনতার পাপ’ এবং ‘তোমাকে বুঝিনি থিও’।
Posted in: Poetry, September 2019