রাসেল রায়হান-এর কবিতা

মাছ

সার্কাসে থাকতে আমি একটি নীল রঙের ঘোড়া ছিলাম। আজ তোমার চারপাশে দৌড়াতে দৌড়াতে হঠাৎ দুপায়ে দাঁড়িয়ে যাই, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি, সার্কাসের পুরনো বিদ্যা এখনো আমার মগজে গেঁথে আছে বলে। যেমন আমি প্রচণ্ড একটি ফলা হয়ে গেঁথে থাকতে চাই তোমার শরীরে। চার পাশে বছর জুড়ে হতে থাকবে বৃষ্টি। পানি জমতে জমতে তলিয়ে যাবে কাঁধ যেভাবে পানিতে থাকতে থাকতে মাছ হয়ে ওঠে একটি প্রাণ, আমিও তাদের মতো মাছ হয়ে সাঁতরে বেড়াব, তোমাকে কেন্দ্রে রেখে অনন্তকাল

 

নস্টালজিয়া

কোনো এক সূর্যাস্তকালীন অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিতে হেঁটে যাওয়ার সময় বিজলির চমক দেখে এই সিদ্ধান্তে আসি যে, আকাশও ধাতব। সম্ভবত আরেক ধাতুর আঘাতে ঝন ঝন করে বেজে উঠবে সে। তেমন হলে খুব ভালো জাতের কোনো বাদ্যযন্ত্র বানানো সম্ভব—ভাবতে ভাবতে হঠাৎ ধারণা করি, ওখানে ওয়েল্ডিং মেশিনে কেউ একজন চিড় ধরা আকাশ ঝালাই করছে; হয়ত তারই নাম মিকাইল এবং সে নিজে কখনো বৃষ্টিতে ভেজার অনুমতি পায়নি।
তার চোখও কি ওয়েল্ডিং মেশিন থেকে ছিটকে আসা উজ্জ্বল ফুলকির ঝাঁঝেই অশ্রুসিক্ত হয়, এমন সব সূর্যাস্তে? শিরিন, আমার পুরনো জীবনের কথা খুব মনে পড়ে


Profile_Pic_Rassel_Raihan

পরিচিতি: জন্ম – ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৮। পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। কবিতার বই চারটি – ‘সুখী ধনুর্বিদ’ (প্লাটফর্ম), ‘বিব্রত ময়ূর’ (প্রথমা), ‘তৃতীয় অশ্বারোহী’ (জেব্রা ক্রসিং), ‘ইহুদির গজল’ (জেব্রাক্রসিং)। প্রকাশিত উপন্যাস – ‘একচক্ষু হরিণীরা’ (দাঁড়িকমা)।



Facebook Comments

Leave a Reply