রাজর্ষি মজুমদার-এর কবিতা
নাম – নামের গানগুলি- ৩
মানুষের সঙ্গে সঙ্গে গান আনন্দ হয়ে উঠছে। মদ সম্বন্ধে সংশয় জমতে শুরু করেছে মনে – দেখছি, ক্রমেই তুমি শব্দগুলি ধীরে উচ্চারণ করছ। পুরোনো হোটেলরুম, সীসে ওঠা আয়নার থেকে গন্ধ আসছে ম্যহফিলের।
মুন্নারে একমাত্র ছায়া ও প্রেম স্থায়ী হয়। প্রয়োজন মত দোলনাও স্থায়ী হতে পারে। এখানে রাত অর্থে- আরোও একটি সানগ্লাস হারানোর ঝুঁকি।
ইরম, ভরসা করতে শেখ। এলাচ ও সিসালের মিহি গন্ধ ছড়ানো পথজুড়ে অ্যালার্ম বেজে উঠুক – অ্যালার্ম বেজে উঠুক বালিশটিতে – তোমার কণীনিকায়।
বন বন ঢুঁঢন যাঁউ- ৬
বেরোতে গিয়ে প্রতিবার দেখি তুমি কথা বলছ –
ঠোঁটের ওঠানামা, প্রতিটি উচ্চারণে স্পষ্টত অবহেলা করছ আমার উপস্থিতি।
“রূপবান”
“রূপবান”
“রূপবান”
এ নামকে নিজের ভাবতে ইচ্ছে করে – অথচ তুমি এ নাম নিয়ে কাকে ডাক প্রতিবার?
আবাহনী নাকি মিথ্যে সংযমের আড়াল…
গোটা য়্যুনিভার্সিটি জুড়ে ফিস ফিসিয়ে ঘোরে এই বর্ণমালা – জাগিয়ে তুলতে চাও আমাদের সেই দিনগুলি – পরস্পরের শারীরিক ভালোবাসা।
এই ক্লোরেন্থিয়ান স্থাপত্য তো আসলে ঔপনিবেশিকতা – আমরা আলোচনা করেছিলাম ভারতীয় যৌনতার ঐতিহ্যে তার বিরুপ প্রভাবগুলি নিয়ে। সেই তোমাকেই দেখতে পাই এক অদ্ভুত ভিক্টোরীয় মরালিটির আড়ালে নিজেকে ঢেকে ফেলতে…
প্রিয়বতী এই ইন্দ্রিয় ঈশ্বর উপলব্ধির এক ও একমাত্র পার্থিব পথ, সেই দাবিতেই শরীরকে – আরো ভালোভাবে চেনা উচিৎ ছিল। খুঁজে দেখা উচিৎ ছিল রমণের কোন পর্যায়ে আমি তোমাকে দেবী জ্ঞান করি।

পরিচিতি : বর্তমানে পুণের ভারতীয় ফিল্ম এবং টেলিভিশন সংস্থায় চলচ্চিত্র সম্পাদনায় স্নাতকোত্তর পাঠরত। সমাজ ও শিল্পের আবহমান কালের ইতিহাস, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আগ্রহী। বৃষ্টি না হলে সাঁতার কাটেন এবং অবসরে উনো খেলতে ভালোবাসেন। ২০১৭ সালে প্রকাশিত বই- ‘নিচু জলে’ (প্রকাশক- আঙ্গিক ও মাস্তুল)।
Posted in: Poetry, September 2019