প্রশান্ত সরকার-এর কবিতা
পিকনিক
তারপর মাংসের ভেতর আলো এসে পরে
যথারীতি এলাচ ও জাফরান, বহুব্রীহি…
এভাবেই তরতাজা দুপুরসুঘ্রাণ,
সেদ্ধ হচ্ছে ধারাবাহিক।
করিডোরে দৌড়ে বেড়াচ্ছে মনুর সন্তানাদি
প্রক্ষোভের গায়ে গায়ে
দুপুরের ঈষদুষ্ণ স্নানবেলা, লোকাচার-
এখন যতটা সম্ভব আলো, যতটা সম্ভব
আয়ু টেনে রাখছে শরীর, সস্নেহে…
রক্তে পরিমিত লবণ থাকলে,
হরিণীও স্বাদু হয়ে ওঠে
মাস্তুল
তুমি তার বেশী নীচে
নেমে এলে..লিখে দেব সিঁড়ি,
কুয়ো, কলতলা… সবশেষে স্নান
যে ফুল অশৌচ হল পায়ে
তাকে লিখছি… ভোরের আজান
রুগ্ন ছায়া, যেন আলপথ
তারই মধ্যে নেমে গেল দুপুরের প্রায়
একটা উঠোন লিখছি, নিজের নিয়মে
একটা নির্জন, যাকে সবটুকু বলে দেওয়া যায়
ক্রমশ শব্দ লিখছি, আর ট্রাম
জল লিখছে আরও একটা বৃষ্টির ভেতর
যে পাখী পুনর্জন্ম খোঁজে
তাকেই লিখছি, মৃতের শহর

পরিচিতি : জন্ম ৬ই সেপ্টেম্বর কলকাতায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করে বর্তমানে একটি বহুজাতিক সংস্থায় হিসাবরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার কাজের সাথে যুক্ত। নেশা – গান শোনা, ছবি আঁকা, ঘুরে বেড়ানো। সম্পাদনা করেছেন ‘চার্বাক সাহিত্য পত্রিকা’। বর্তমানে ‘যাপনচিত্র’ পত্রিকার সম্পাদনার সাথে যুক্ত। মূলত শূন্য দশক থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালিখি শুরু হয়েও তাঁর প্রথম কবিতার বইয়ের প্রকাশকাল প্রথম দশক। কবিতা ছাড়াও লিখেছেন বেশ কিছু গল্প, মুক্তগদ্য, প্রবন্ধ। ২০১৬ সালে সাহিত্য আকাদেমী আয়োজিত ‘অখিল ভারতীয় যুবা লেখক মহোৎসব’-এ বাংলা ভাষার পক্ষে যোগদান করেছেন ত্রিপুরায়।
এযাবৎ প্রকাশিত বই – ‘মেঘলা রং বান্ধবীরা’ (২০১৪), ‘অসম্ভব পাখিদের ওম’ (২০১৬), ‘খেলনা যোনির পরী’ (২০১৬), ‘এই আলো, আলফাজ’ (২০১৭), ‘বিষুবের ঘরবাড়ি’ (২০১৭), ‘নিষেধাজ্ঞা জারি থাক’ (গদ্য-২০১৮), ‘কলোনি কোলকাতা’ (২০১৯), ‘স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু বেশী’ (২০১৯)।
Posted in: Poetry, September 2019