ইমরান মেহেদী-এর কবিতা
সিনেমা
মেয়েটি বসন্তের লাল
রোদে চিকচিক রাধাচূড়া—রাঙাবেলা।
তার নাকে ও কানে যে ফুল দুলে ওঠে তা ছেলেটির মুগ্ধতা,প্রেমে পড়া।
.
অগণিত নক্ষত্রের ন্যায় জুঁই ফোটা বাগান
সমস্ত দিন মধুরস ঝরায় কিশোর কুমার-লতা মুঙ্গেশকার।
জাতক-জাতিকা বশ করে মধুকর।
.
ওরা বুকের ভেতর পোষে অজস্র পাখি–কিচিরমিচির কুহুতান।
কিছু পাখি দুঃখ বোনা ধনুকার,কিছু পাখি সুখ সাধা সানাই।
ছেলেটি মেয়েটির রূপের টলটলে টলমল করে ওঠে।
ভিতরে ঝিকমিক আতশবাজি।
.
মেয়েটির বসন্তে গোলাপ ফোটা গন্ধ ভাসে হাওয়ায়,
রোম্যান্টিক নিয়ে ছুটে আসে ছেলেটি।
ছেলেটিও স্পর্শে লাল–মুগ্ধতার দানায় দানায় মেলোডি বিচ্ছুরণ।
চব্বিশের চঞ্চলতা ছেলেটিকে দীর্ঘশ্বাসে ভোগায়।
ভাল্লাগেনা অসুখ নিয়ে মেয়েটির পথে এসে দাঁড়ায়।
.
আমি ওদের পাড়তুতো ভাই এসব দৃশ্যকল্প সিনেমা বানাই।
বহুরূপী
তার চোখ থেকে খসে পড়ে আয়নার মতো স্বচ্ছ অভিনয়।
অপহৃত পোশাক ও মেকাপের নীচে পড়ে থাকে কান্না।
চরিত্রগুলো লাইটস বার্নিংয়ে তরজুমা করে নিজেকে এবং প্রক্ষিপ্ত অন্ধকারে বিলীন হয়ে যায়।
ঠিক তখনি উত্তপ্ত সংলাপে আইসকিউব নির্জনতা নেমে আসে।
মুখোশের চ্যাপলিন থেকে বেরোয় বহুরূপী।
শেষ দৃশ্যে জোকার নিঃসঙ্গ আয়নার মতো চূর হয়ে যায়।
রাতের নাট্যবিভ্রম থেকে চুইয়ে পড়ে অভিশপ্ত অন্ধকার।
.
পৌরাণিক মিথ সভ্যতার ঈক্ষণ।
নৃগণ মঞ্চস্থ করে রোটেশন।
.
আর আমরা সকলেই মধ্যরাতে হ্যাটস্ অফ অভিবাদন জ্ঞাপন পূর্বক করতালিতে ফিরে আসি যে যার গুহায়।
ঘুম ভেঙ্গে গেলে পুনশ্চ পড়ে নেই রঙচঙে তামাশা পোশাক।

পরিচিতি : ইমরান মেহেদীর জন্ম ১৫ এপ্রিল ১৯৮৭, বরিশাল, মেহেন্দীগঞ্জে। বসবাস – আশুলিয়া, ঢাকা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা – স্নাতকোত্তর (ফ্যাশন ডিজাইন)। প্রকাশিত কবিতার বই – ‘পদ্য তালে নগ্ন নৃত্য’ (২০১৩)।
Posted in: Poetry, September 2019