হাসনাত শোয়েব-এর কবিতা
দ্য রেইনি সিজন– ১৫
বুক
আমার ফিলিস্তিনি গার্লফ্রেন্ডকে তুমি দেখো নাই। সে দাঁত দিয়ে নখ কাটে, আর নাকের ভেতর আঙুল ঢুকায় রাখে। রোববার সন্ধ্যায় সে আমার নামে চার্চে ক্যান্ডেল জ্বালাত আর চিবুক থেকে উড়িয়ে দিত দুর্লভ কিছু যুদ্ধ বিমান। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে সে খেতে চেয়ে ছিল গাঁজা ও আফিমের কোলাজ। আসো, তার কবরে গোলাপ এবং কিছু নখ রেখে আসি।
চিবুক
তুমি পাতার আড়ালে দাঁড়িয়ে মাস্টারবেট করো। পাতা ভিজে যাবে তোমার ভালোবাসায়। তুমি বসে বসে ভাবো ফিলিস্তিন। আহা ভালোবাসা, তুমি আমার প্রেমিকা। আমার স্বপ্নের জেরুজালেম।
নখ
তোমার বুকের ওপর গঁজিয়ে উঠছে গাঁজার গাছ। আমি তোমার কবর দেখি, বুক দেখিনা। তুমি তোমার বুক দেখাও। ভাঙা নখের আড়ালে সন্ধ্যা নামুক।
ক্ষত–৩
ঘাসের ভিতরে চ্যাপলিনকে লুকিয়ে রেখেছি বহুদিন। সেল্টা ভিগোর বিমানবন্দরে ভ্রমণকালীন বিরতিতে দেখা হয়ে যায় জীবনানন্দের সাথে। সেকি তুমুল আড্ডা! অথচ ঘাস এবং কুয়াশা ছাড়া জীবনানন্দের অন্য কোনো শব্দের অর্থই চ্যাপলিন বুঝতে পারেনি। সে নিজে শুধু বলতে পেরেছিল উই লিভ ইন পোস্টমডার্ন টাইম। অতঃপর দীর্ঘ নীরবতা! নিঃসঙ্গ দেবদারুর গল্পটা জীবনানন্দ আর তুলতেই পারেনি। টেলিগ্রাফের তার বেয়ে নেমে আসা সন্ধ্যাটাই যখন পুরো সেল্টা ভিগো ছেয়ে যায় তখন দ্রুতগামী দুই বিপরীত ট্রামে দুজন উঠে পড়ে।

পরিচিতি : জন্ম – ১৯৮৮, চট্টগ্রাম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা – চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর। প্রকাশিত বই – ‘সূর্যাস্তগামী মাছ’ (কবিতা), ‘ব্রায়ান অ্যাডামস ও মারমেইড বিষ্যুদবার’ (কবিতা), ‘শেফালি কি জানে’ (নাকবিতা, নাগল্প, নাউপন্যাস), ‘দ্য রেইনি সিজন’ (কবিতা), ‘ক্ল্যাপস ক্ল্যাপস’ (কবিতা), ‘বিষাদে রমাকান্তারা’ (প্রকাশিতব্য উপন্যাস), সম্পাদিত কাগজ – ডাকঘর, ডাক।
Posted in: Poetry, September 2019