দেবাদৃতা বসু-এর কবিতা

টিঙ্কার বেল ১০

১।

রেললাইন থেকে উঠে আসা মানুষ
ছুঁলেই ট্রেন হয়ে ওঠা যায়।

দস্তানার
সংসারে একটা অসুখ হোল

সেলাই মেশিনের অন্যদিকে যে দুঃখ
তাতে বৃষ্টি পড়ছে

২।

খেয়ালীর হাতঘুড়ি

ভয়ের ইস্কুল ছুটি দিয়েছে মাছেদের
নদীর কথা ভাবা হয়
দুপুরের ঘণ্টা বাজিয়ে ঘুম ডাকল ছুটি
যখন একটাই সুতোর কারখানা জেগে আছে
যে গাছের দুধ থাকে লোকে তার পাতা ছিঁড়ে খায়
সুতোর মেশিন খুলে দেখে নেয় মেশিন গান, শহরের লনে অসংখ্য রাতজাগা গাছ
ঘুমোবে কখন
হুডখোলা ট্রাফিকের গল্প বলা হবে, দেবতার মৃত্যুশোক মাছেদের
৫৭/১ বানাবে
পুরনো ক্যালেন্ডারে পূর্ণিমা দেখে
হাতবদল করছে বাড়ি
এভাবেই গৌরি সতেজ হয়েছে সংসারে

যেভাবে এসেছিলে খেয়ালী খৃষ্টপূর্ব শুন্যতা নিয়ে, গাভীর মসৃণ থেকে তুলে আনা রূপকথারা
শহরের কলসি ভরছে কলহে

একটা পাহাড়ি এলাকায় ছবি হয়ে ওঠা রাতের ল্যাম্পশেড
বুড়ো নদীর মুখে গল্প শুনি-

মাছেদের চিৎকারে আলো হয়েছে ব্রেকফাস্ত টেবিল। স্যামন । সার্ডিন ।
ওই রুটির ঝুড়ির প্রিয় ক্রিম রোল নাগেট
পথকে ম্যাজিক চেনাবে ব’লে ব্যালেন্স ক’রে নদীর পার হেঁটে যাচ্ছে
তামাম শহরের গা বেয়ে
দুজনের মাঝে যে অন্ধকার তাকে অন্নপূর্ণা ডেকো
তার ভারসাম্য থেকে এখন সময় ঝোরে যাচ্ছে

সমস্ত ঘাট ফেলে এসেছ খেয়ালী
তোমার রঙতুলির বিনিময়ে মাংস সাজাচ্ছ টেবিলে
টিফিন বাক্স আলো ক’রে ফ’লে আছে মায়েদের রোদ
আত্মহত্যা মনে পড়ে
কখন স্বরলিপি লেখা
সেই গানের ভেতর থেকে উঁকি দেওয়া
দিনকাল ঢুকছে ঠাকুর ঘরে

দোতলায় উঠল ইতিহাস
তার পার ভাঙ্গা
সামান্য গোড়ালি
এমনই কোলাহল, সুসময়ের তালাচাবি পাহারা দেয় মায়েদের নিশাচর




Profile Pic Debadrita Bose

পরিচিতি : কবিতার বই – ‘বিরল গন্ধ থেকে’ এবং ‘ছায়া পিয়ারি’। গদ্য লিখতে ভালবাসলেও বই হয়নি কখনো। সিনেমাও আছে গোটা পাঁচেক। কিছু অনুবাদও। জেন্ডার রাইটস এর দিকে ঝোঁক। রান্না ও পাহাড়ে ঘোরা, নেটফ্লিক্স ইত্যাদি পছন্দ।

Facebook Comments

Leave a Reply