অয়ন্ত ইমরুল-এর কবিতা
থাকা
অনেক অবসরে দীঘিবনের শিসপ্রিয়া
কানে কানে
মনে মনে
পরানের বাইরম চৌদ্দডাঙার পর
যেখানে ডিঙি ডোবা তল,পদ্মপাতার মতো ঘুম
এমন শান্ত প্রহরে দুপুর নেমে আসে
একটা স্লুইসগেট খোঁজা পাহাড়ি ঢল
কি বন্যায় ভেসা থাকা—
সে হাওয়ায় পাখালি,গাছালি ভেজা
ক্ষুদে জামের রঙ লাগা
ও ঠোঁট
বৃহৎ বিকিরণ চারপাশটায়
তখন গোধূলি টাঙানো,দেখায় আচ্ছন্নতা
সাঁতার জড়িয়ে সিঁথিহাঁস
জলের হৃদয় ছুঁয়ে টিলিক দেয়া বেতরাঙা
কিছু ছলাৎ নিয়া চলা—
তোমার অশরীরি ছায়া চন্দ্রবিন্দুর উপর
ব্যক্তিগত,ভাঙা বর্ণমালা উচ্চারণে
থেমে যায়
পেনশন ফুরিয়ে যায় দীর্ঘ ভ্রমণে
হাতে ও কি
সন্ধ্যার ধূপকাঠি—প্রতি অঙ্গে একা ঘর
বড্ড রাত লাগে চোখে
একটা রেহেল দুলে ওঠে
সিপারার ভেতর দিয়ে ময়ূরপাখ হয়ে তুমি থাকো….
হাড়ের পিয়ানো থেকে
হাড়ের পিয়ানো থেকে ও পথ জখমের।
ধানদূর্বায় ডানাকাটা ব্রিজ—
পেরিয়ে যত সূদুর কলের ভাঙা;রক্তগ্রন্থির ঢেউ,
কতদিন সমুদ্রে গেছি—
সে জীবন ক্ষতময়,জ্বরা,মৃত,ভয়—
ফ্যালফ্যাল নিশানা কেবল ভারি দিগন্তের দিকে কাৎ হয়,
চিৎ হয়।
তবুও
মানুষজন গল্পে নামে,পুঁথিতে উন্মুখ হয়ে থাকে
দীর্ঘ রাত অবধি—
পাথর ভাসায় সামান্য এক সরুখালে।
ফড়িঙের মতন ওড়ে।ব্যাঙের মতন লাফ দেয়।
যেন শূন্যে গিয়ে পড়ে।
যারা চাঁদ পাড়ে,চাঁদ খায়—তাদের আতাগাছে ক্রমে বড় হয় তোতাপাখি।
আমি সেই তোতাপাখিকে দিতে যাই
উচ্ছিষ্টের সমান ভাগ।আমি অপরিচিত বলে নেয় না সে।

পরিচিতি : জন্ম ১২ ই এপ্রিল ১৯৮৭, হরিরামপুর-মানিকগঞ্জ। প্রকাশিত বই – ‘ছায়া সমুদ্র’ (২০১৬), ‘বুদ্ধের ভায়োলিন’ (২০১৮)। প্রকাশিতব্য বই – ‘সাদা ধূলির দূরত্বে’ (২০২০)।
Posted in: Poetry, September 2019
ভালো লাগলো। প্রথমটি তো চুমু।