আমির খসরু-এর কবিতা
রাঢ়ি শহরে ঘুম
বেঁহার কথা বেঁহার মা অই বোঝে সঙ্গে লাড়ু,বিস্কুটের বয়াম
ধান ছিটাইলে কইতর নামব’ই আশিন মাইয়া বাণ কাইৎ কইরা নামে কাতি মাস’অ ধানের দর ‘ফিরোজা রঙের কথা’
অগ্রহায়ণে মেঘ’অ আগুন গরম বাতাস ফসলের ক্ষতি লাউয়ের বাজার বাম্পার কয়দিন আগে কি মেঘডা অই না গেছে ‘গণনারা গণিত’
এরার তালুহ’অ পাঁরা পরছে!
ইহ শুনছিলাম না নতুন কইরা হুনন লাগব কিরে বেঁহা লাউ গুরিডা দিলে না তে পথের মোড় ব’অন অলক্ষীর চিন ধুতরা ফলে বাতি জ্বলে ‘কথার দরদ’
চারপাশ ফরহাস কইরা দেখি চাঁন উঠছে কুপি জালাইয়া পড়তে ব’অ
‘সুরেলা স্বর’
না পড়লে গাড়ি ঘোড়া চড়বা ক্যামনে পড়,পড়
‘নদীর মতো কথা’
সব কিছুর শরিক আছে বিদ্যার কোন শরিক নাই
এভাবেও করা যায়
করা করির মাঝে তৃপ্তি হল বের হয়ে যাওয়া;
ও’গো ফেরারী রেসিং
ধান কিংবা গমের কোন উর্বর শহর থেকে ইঁদুর পরিমাণ চার’টে আঙুল;গর্তে তুলে মুবনুণ’ আইলে বসে থাকা চিলটির পরিচয় নেই’ ঢিলে ঢালা কণ্ঠে ইঁদুর মারা যায়’
এই যে বিস্ বুম
আমন ধানের গতর বেয়ে নেমে গেছে সরিষা ক্ষেত;ডায়াবোলিকেল কেয়ার কতটা উৎসব মুখরিত; বছর গুলো দ্রুত রোদে শুকাতে হয়’ জানুয়ারির মত আঙুল’ ধানের চারার ভেতর গ্রহণ’
আমার কটা দিন
ফিরে এলেই নিজেকে চুলোয় বসিয়ে দিই;আস্তে করে খুলতে থাকি চোখ’ অন্ধকার নিই যতদূর পারি’ ধীরে খুলে ফেলি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ,ভারী হয়ে ওঠে নিজেকে রান্না’
চুরুট যুবতী
ইঁদুর গুলো জ্বালানির যোগান দেয়; রান্না শেষে বর্তন সেজে বসে আমার অঙ্গে,সরিষা ফুলে; স্বীকৃতি পায় চিল’
প্রচ্ছদ হয় অভাবী গরুর মুখে খড়ের গান
কত রকমে করা যায়
আমি তো কবিতায় নিজেকে করছি যতটা না পারার আক্ষেপ
এই সেদিন সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টায় সকাল কল পড়ল

পরিচিতি : আমির খসরুর জন্ম ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ-এ।
Posted in: Poetry, September 2019