ল্যারিঞ্জস্কোপ করতে যাবার আগে : সৌগত বালী
ভোরে উঠে দেখি পাখি চিলড ছিলো।
পাখি কি একটু হিলড ছিলো।
কিছু কিমিল ছিলো ?
রাত ।।।।।।।।।।।।।।।। ।।।।।। চৌকো
গোলাকার অথবা প্যালিন্ড্রোমিক নতুবা ডেথম্যানিয়াক হয়ে পড়ি।।। আমার হাত একটা খলিল মৃত্যুর জন্য নিশপিশ।।।।।।।।।।।।।।।।।
পাখি স্পেশাল চাইল্ড ছিলো।।
তখনতো মাঝ রাত ।
আমার ঘুমন্ত হাত ।।
কিছু কি একসাথ !!
অবশেষে আমি আমার আঙুল গুলো ছাড়াতে পারছি না।।।
ইনভ্যালিড মেয়েটার গোলার্ধ ডিপে ধরেছি।।।
এরেপ মেয়েটা বলল আই লাভ উ বলছিস।।। আমি কিছু বলতে পারছি না ।। আমি ভাঙছি ।।অবসাদে ভাঙছি।।অনুশোচনা।। যন্ত্রণা।।। আমার হাত দুটো পচা গন্ধ ।।।
বাজারের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমাকে বাঁচতে হবেতো !!
আমুও ভাবতে লাগলাম ও স্তন দুটো একটা বাংলা প্রদেশ । যেই টিপছে ।। বঙ্গদেশটি প্রশ্ন কর্তেছে তুমি কী আই লাভ উ বলছো।।। আমরা শালা উত্তেজনায় কাঁপছি।।।কিছু বলতে পারছিনা।।। প্রতিবন্ধী বাচ্চা কে ঝাড়তে পাড়া যায় ।।।
কেবল ছাড়তে পারা যায় ।।
আমরা এই বঙ্গবাসীরা একটা মস্ত বাল।।।
সুতরাং গার্ডার ছিলো
আমাদেরও র্যাডার ছিলো
তুমি কালো মেয়ে গয়ালিনী।।
রাতে দুধ দাও আমি তোমারে চিনি।
তোমারও চিনি।।। দুধে জ্বাল দি ।।
বিঘেতে আঙুল্দি।।।
তুমি কল মেয়ে ।।ক্ক্কালো মেয্য্য্য্য্য্য্মেযে আমি উল্টো পাজামা পরি গর্দানে যে।।।
চৌত্রিশ বছর ধরে বিপ্লব আসবে বলে বলে শেষে বিয়ের পর শালা এলো ।।।বিপ্লভ গোশ এলো।।।
আরে বঞ্চৎ যাদের কোহিনুর চুরি হয়ে চলে গেলে সে দুঃখে কন্ডোম বানায়।।।
আমরা বাঙালু ভাভি।।। এই পরাধীনতার গ্লানি।।। রাবারের নিচে বিন্দু বিন্দু কোহিনুর জমতে থাকবে ।।। এই রাবারের নলের ভেতর থেকে কোহিনুর বিরিয়ে আসবে জ্বল জ্বল করবে।।।আহা কি মহিমা।।। আমাদের নোবেল চুরি গেলো আমরা সে তাবৎ বেল পাইনি।।। গাছের তলায় বসে বহুত বেল চুসেছে।।।চুষে শালা বেলঘরিয়া বানিয়ে দিয়েছে।।।
বেলঘরিয়ার বিবেক লাইভে এসে এন আর সি বিরোধিতা করতে গিয়ে বলছে।।। এটি মূলত আসামের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ।।। তলে তলে মুসলমান তাড়ানোর প্ল্যান কিন্তু এর সাথে হিন্দুরাও চলে যাবে বেশি ।তার মানে পূর্ববঙ্গী হওয়ার জন্য মুসলিমদের প্রতি রাগের লুকনো অবকনসাসটি একটি পরাধীনতার বিবেক।।।আসলে আমাদের কোনো অবস্থান নেই।। অবস্থান আমাদের সুবিধার কারণে বদলে যায় আমরা কখনো দোগলামি লজ্জা পাই।। আমরা আমাদের নুকচ্চি।।।।আমার জিগরি দোস্ত রতন ও এতদিন বলছিল এঁ আর সি খুব খারাপ । বিজেপি ফ্যাসিবাদী দল এখন পাল্টে গেছে কোথায়ও শুনেছে এটা হিন্দু রাষ্ট্র হবে।।।রতন বলছে বাংলাদেশ থেকে বাকি আত্মীয়দের নিয়ে চলে আসবে।।।
আসলে আমরা দোগলা।।। আসলে এটাই আমাদের যথার্থ অবস্থান।।।
আমি হাঁ করি ।
আমার মাড়ি পুঁজভর্তি।।।
তুমি কালো মেয়ে ।।
তুমি বালও মেয়ে
তুমি সিনড্রোম ড্রোম ড্রোম।।।
আমি পোড়া মোম মোম মোম।।
ভোলে বম বম বম বে
কিবে ?
কিছু না।।।
বাংলা ভাষাকে সম্মানের জায়গায় রাখতে রবি বাবু চেষ্টা করেছিলেন।।।
ইংরেজের বাংলা শেখানোর ধুমে বাংলা ভাষার ব্যাকরণে সংস্কৃতের প্রভাব পড়ল।।। বিদ্যেসাগর ইংরাজি যতিচিহ্ন মেরে গাঁড় মেরে দিলে।।। আওশ্য রোবো বাবু লন্ডন থেকে ফিরে বললেন লন্ডন বানানে ন্ড হবে অথচ এ যুক্তাক্ষর আমাদের কোনোকালে ছিলো না।।। তবু অন্য ভাষা বুকের ওপর চেপে বসা আটকানো গেলো।।। এছাড়া ক্রিয়াপদে সামান্য রদবদল ঘটিয়ে ভাষাকে নরম করলেন আন্তর্জাতিক প্রবণতা ভরলেন।।।
কিন্তু তারপরেই বাংলা ভাষায় এসে গেলেন বিষ্ণু দে। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত।জীবনানন্দ দাশ।। যদিও এর আগে বাংলা সাহিত্যে পদ্য লেখার চল ছিলো।।। কাহিনী ধর্মীতার প্রবণতা ।।। রবোজ্জ্বলতাতেও তা ছিলো।।। পরে বাংলা কবিতা উরোপীয় নিখাদ কবিতায় মন্দিলো।।। এরই পরম্পরায় হাত ধরে স্পেঙ্লার পড়ে।। ক্ষুধার আগ্রাসন উরোপকে আক্রান্ত করলো অথবা উরোপীয় ক্ষুধা বাংলাকে আক্রান্ত করলো সেসব নিয়ে যেতে চাইছি না।।।
সিপিয়েমের সময় ডিওয়াই এফ আই করতাম।।। অল্প কয়েক মাসে প্রশ্ন করতে করতে।।।বিরাগ ভজন হলাম ডাকা বন্ধ করে দিলো।। পরে তৃণমূল এসে আমরা আমাদের সিপিয়েম ঠাওরে দরজায় গু মাখালো।।। জানলার কাচ ভাঙল।।। আমার দাদাকে মাগিবাজ বলে ক্যালালো।।।
আর ভয়ে আমাদের হাত পা পেটের ভেতর।। শুধু হাত পা কেন মা আরেকটু টেনে নিলে নবগর্ভস্থ হই ।।। এখন লোকে আমাকে বিজেপি বলছে।।। আর আমি একটা স্পেশাল চাইল্ড খুঁজছি।।যার মহাকরণে হাত দিতে থাকব সারারাত সে বলবে তুমি কি আই লাভ উ বলছো ? আমি না বলব।।। স্পেশাল চাইল্ডের দায়িত্ব কেউ নেবে না শুধু হাত মারো আর বলে দাও এটা আমাদের বাঙলা।।।
তারপর নব্বই দশকের শেষের ভাষা কবিতার ধুঁয় দিয়ে গেলেন দেরিদা বইমেলায় ।।বাংলা কবিতা পোস্টমডার্ন ।পোস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ।। পোস্ট ডিকসনাল।।। বাংলা কবিতা ভাষা নির্মাণের ঝোঁকে পড়ল।।। কবিতার আউটার সার্ফেসের দিকে নজর বাড়ল।।। অথচ কবিতার আকাঙ্ক্ষাটি ধরে রাখতে অনেকেই অন্তরে রোবোবাবু কে মায় লালন ফকির মায় বৈষ্ণব পদাবলীর ধারাটির চোরা স্রোত।।।সমস্যায় পড়ে গেল শূন্য দশক।।। আসলে আশির দশকের কবিরা এই নতুন ধরনের নিরীক্ষার কাজটি শুরু করলেন নব্বই দশকের গোড়ায়।।। আর শূন্য দশকের এক ঝাঁক যুবক এসে বাংলা কবিতার নতুন নতুন ভাষা কাজ করতে থাকলেন।।। কিন্তু এতে কবিতা অন্তরটি ক্ষীণ হলই।।।কারণ হাজার বিষয়হীনতার কথা বললেও। বললেও কবিতার গড়ে ওঠার প্রাক মুহূর্তে একটা সিঙুলার চিন্তা থাকে যেটা সাবজেক্টিভ। এখন বিষয় হচ্ছে।।। ভাষা কবিতার কারুকার্য শিখে অনেক অগা কবি ঐ গজা প্রাকচিন্তা দিয়ে একটি বালের কবিতাকে ভাষা দিয়ে কনস্ট্রাক্ট করলেন।। ফলে এক আধটা সেসব প্রাইমোডিয়াল থাকেন তাঁরা কবিতাগুলি ক্র্যাক করে একটি ভুসি চিন্তন পাচ্ছেন।।।
এ এক পরাধীনতা দুডুল দাশগুপ্ত মাঝি যখন নদীতে ভাসতে গিয়ে দেখেন তাঁর মাথার ওপর আরেকটি নদী।।। তখন আপনি দুর্বোধ্য বলে দেন।।। আপনি মাঝির সংসার বিষয়ক নদীটি দেখতে পেলেন না ! ! !
এ #বিষয়ে #একটি #বিজ্ঞান #ভিত্তিক #ফেবুপোস্ট :
“আমাজনের অক্সিজেনের এক ফোঁটাও আমাজনের বাইরে আসে না।
প্রতি বছর আমাজনের রেইনফরেস্ট পৃথিবীর সমস্ত মানুষের মোট প্রয়োজনের কুড়ি গুণ অক্সিজেন তৈরি করে। তার পুরোটাই লাগে আমাজনের মধ্যে বসবাসকারী ইকোসিস্টেমের প্রয়োজন মেটাতে।
আমাজন তার মানে অক্সিজেন দেয় না মানুষ কে? সহজ উত্তর — সরাসরি না।
এ এক অদ্ভুত গ্লোবাল প্রসেস। কি হয় পুরো ব্যাপারটা? শুনলে মনে হবে থ্রিলার।
সেই থ্রিলার শুরু হয় উত্তর আফ্রিকার মরুভূমি তে। ধুলোর ঝড়। গরম বাতাসে মিশে থাকা ধুলোর কণা। আস্তে আস্তে আটলান্টিক পেরিয়ে সেই ধুলোর আস্তরণ গিয়ে পড়ে আমাজন অববাহিকায়।
নিয়ে যায় গাছপালা আর বাকী ইকোসিস্টেমের বেঁচে থাকার মহামূল্যবান খাবার। গড়ে ত্রিশ মিলিয়ন টন ধুলো আফ্রিকা থেকে গিয়ে জমা হয় আমাজনে প্রতি বছর। গাছ মাটি থেকে জল টানে। অভিকর্ষ অতিক্রম করে সেই জল বাষ্প হয়। হাজার হাজার বর্গমাইলব্যাপী বাষ্পের এক নদী। যেটা নীচের আমাজন নদীটার থেকে অনেক অনেক বড়। সেই বাষ্পের নদী গোটা দক্ষিণ আমেরিকা পেরিয়ে গিয়ে ধাক্কা খায় আন্দিজ পর্বতে। আনে বৃষ্টি। আন্দিজের গা বেয়ে সেই বৃষ্টির জল বয়ে আসে আমাজন অববাহিকায়। ধুয়ে নিয়ে যায় পাথর। সাথে মিশে থাকে খনিজ। জরুরী পুষ্টি। আমাজন মেশে সমুদ্রে। সেখানে সেই পুষ্টির অপেক্ষায় থাকে এক অসামান্য জিনিশ।
ডায়াটম। সমুদ্রে থাকা এই ডায়াটম হল পৃথিবীর অক্সিজেনের অন্যতম প্রধান সোর্স। নদীর জলে ভেসে আসা সিলিকা ব্যবহার করে এই ডায়াটম। তৈরি করে নতুন সেল। একপ্রকার প্রজনন। প্রতিদিন এদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। ডায়াটম সালোকসংশ্লেষ করতে পারে। সেই থেকে আসে আমাদের অক্সিজেন। আমাদের সমস্ত প্রয়োজনের ৫০% অক্সিজেন।
আফ্রিকান ধূলিঝড় না থাকলে হারিয়ে যাবে আমাজন। আমাজন না থাকলে বাঁচবে না ডায়াটম। ডায়াটম না থাকলে অক্সিজেন সোর্স কমে যাবে এক ধাক্কায় আর্ধেক।”
পবিত্র দাসের লেখা
অরিজিৎ মিত্রের ওয়াল থেকে।
এই যে হাজার হাজার বর্গ মাইল বাষ্পর নদী আকাশজুড়ে বুঝতে পারছেন দুডুল দাশগুপ্ত !
ফলে নতুন কবিতা নয় কবিতার ভাষা শুরু হল যেখানে নোয়াম চামস্কির সিন্ট্যাকটিক্যাল স্ট্রাকচার এর ভাষাতাত্ত্বিক পদ্ধতি বা সস্যুরের ভাষাতত্ত্ব এসব নিয়ে কেটে যাচ্ছে আমাদের ।।। ভাষার কাজের চরম কাজ কিন্তু শূন্য দশকেই হলো আর যাঁরা শূন্য দশকে লিখতে এসেছেন তাঁদের অধিকাংশের বয়স চল্লিশের নিচে।। আমি আশা রাখি এখনো আসল কাজ শূন্যদশকীরা করেন নি ।।। ভাযার খোলস ভেঙে অন্য ইশারার কবিতা কিছু চিহ্ন শূন্যদের মধ্যে লক্ষ্য করছি এর পূর্ণাঙ্গ বিকাশ হলে আরেকটি চূড়ান্ত কাজ দেখতে পাব।।।আর তখন পরাধীনতা কেটে যাবে।।। পোস্ট ট্রুথ এর ফ্যালাসি জীবন পেরিয়ে যাবে।।।এইসব স্বপ্ন সারারাত ধরে বইতে থাকে তারও হাজার বর্গ মাইল জুড়ে আমার বাষ্পরা আমার পেরিফেরাল ক্ষীণ আমিতো কিছুই দেখতে পাইনা। হে আমার অন্ধত্ব অরণ্যত আপাতত ফিরে যেতে চাই আমার পুরনো বৃষ্টির আগে পকেটে স্পঞ্জের মেঘ পকেটে চালান হয়ে যায়।।।
ওখানে বোরের ফাখিতা ফিল্ড ছিলো ।।। সামান্য স্বাধীনতা ছিলো ।।। আমাদের ইদানীং হিন্দির ক্ষমতার ছিলো কেননা এতকাল ওরা বোঝাচ্ছিল।।। আমাদের মিথ্যে রাষ্ট্রভাষা অথচ আমাদের ভাষার ক্রমবৃদ্ধিমূলক গ্রাফটির পাশে হিন্দি একটা ক্ষমতার ভাষার (সংস্কৃত ভাষাটির ) চামচা গিরি করে জন্মেছে।।।হিন্দি ভাষায় কবিতা নির্মাণের টেকনিক্যাল সমস্যাগুলি এখনো কাটেনি ।।। সাহিত্যে এখনো দলিত চিৎকার ।।। শায়েরি আক্রান্ত ।।। উর্দু প্রভাবিত এই অক্ষম ভাষাটি বাংলাভাষাকে দখল করে নেবে বিশ্বাস করিনা ।।। তবে সারা পৃথিবী জুড়ে ক্ষমতার ভাষা নিরীহ ভাষাকে খেয়ে নিচ্ছে ।।। এটা রাজনৈতিক এজেন্ডা ।।। বাংলা ভাষাকে এভাবে মেরে ফেলা যাবে না কারণ বাংলা ভাষা চিদাম্বরম নয়। আজ ল্যারিঞ্জস্কোপ হয়ে গেছে মাঝে মাঝে ডেথ ম্যানিয়াক হয়ে পড়ি ।।।খলিল মৃত্যুর জন্য হাত নিশপিশ করে।।।
Posted in: August 2019, Cover Story