পৌলমী গুহ-এর কবিতা
কাহিনীর বিংশতি-দশা
আত্মহত্যার আগে ঠিক করে রেখেছি
পুরনো শাড়ী থেকে তুলে রাখবো
যাবতীয় চোরকাঁটা।
সোয়েটার ঝেড়ে ছড়িয়ে ফেলবো,
আলো আলো যাপন।
কুপিত কবিতা গুলো ফাইল-বন্দী,
কিছু কলমের গায় লেগে থাকবে তবুও
পুরোনো কালি।থাকুক।
ওটুকু ফেলে চলে যেতে চায় মন।
সম্ভব হলে তো চাঁদ নিয়ে যেতাম,
জ্যোৎস্না নিয়ে যেতাম,
মিঠে ধানের সবুজ থেকেও নিয়ে যেতাম
আদর রস।সম্ভব হলো না।
আমি কিছু নিয়ে যাচ্ছি না বলেই না
তোমাকে রেখে যাচ্ছি।
একথাটা বুঝিয়ে বলতে,এতো বড়ো
ভণিতা করতে হলো!
চলেও যেতে হলো।
এই বারণ-টারণ
শোনো,ওভাবে হাসবে না।একদম না।
বুকে এসে বিঁধছে।
তুমি ওরকম ঠোঁটে ঠোঁট টিপে হাসলে,
আমার কুমারী বুক কেঁপে ওঠে।
নাভি জুড়ে কাঁকড়াবিছে ঘোরে।
চোখ ভারী হয়ে আসে।
শোনো,ওভাবে হাসবে না।খবরদার না।
আমি কবিতা লিখে ফেলবো!
Posted in: August 2019, Poetry