স্বদেশ মিশ্র-এর কবিতা
দিগন্তের গান
যদি বোঝানো যেতো তোমাকে
শীতার্ত অপেক্ষায়
এমন মেঘভাঙা রোদ বড় ক্ষণিকের,
ক্ষণিকের নির্ণয়ে নিরর্থক হয়ে যাওয়া দীর্ঘসূত্র, সূর্যপ্রভাস বড় বিপন্ন এই নিরালায়,
সমুদ্র চিলের কাছে ধোঁয়াশার ডানা
সীমানা ছাড়ানো কোনও ঘুম
আমাদের জন্য ছিলো,
কয়েকটা ক্যাপস্টান,
টোব্যাকোর গন্ধ আর কিছু হৈম সম্ভাষ,
পিটুনিয়া ফুল,
কিছু কিছু ভুলে যাওয়া প্লেক ছিলো সদরে,
আমাদের ঘুম ভাঙাছিলো,
মিথোময় ফরেস্ট এলিজি আমরা লিখেছি
একসাথে, যখনই দুহাত ধরে, পারিজাত পড়েছে
ঝরে ঝুরো ঝুরো, এসবের পর ঘাসের বিস্তীর্ণ ঢালু
জমি খুব দরকার, দরকার, দুহাত আলগা করে
শুয়ে পড়া, ভুলে যাওয়া দেহভার, যাপনের
ক্ষুদ্রাংশ গুলো ম্লান করে, নিজের নামের মানে,
এমনকী নাম, ভুলে, ভুলে যাওয়া… ভুলে যাওয়া
বেঁচেবর্তে আছি…
সরলের বর্গমূল ছেড়ে ওপরে উঠেছি আমি আর আমার জীপের কাঁচে জমেছে কুয়াশা, জারুল ফুলের মাস চলে গেছে, হাওয়ারা থমকে আছে কয়েক ফার্লং দূরত্বহেতু রণন তন্ময়, কিছু কিছু প্রত্যাহার তাদের জন্য ঠিক, যেমন অপরিগ্রহ,
কিম্বা কবিতা…
এসময় ঘাসের দেশ চঞ্চলতা বশে জাগিয়ে তোলে হেমন্তকালীন এনক্রিপশসমূহ, জনপ্রাণী নেই কাছে পিঠে, কেবলই ঘাসের দেশ, হাওয়ায় সমাচ্ছন্ন ঘাসের দেশ, আকাশের নীচে সেই ঘাসের দেশ, যতদূর চোখ যায় ঘাসের দেশ
শুধু ঢেউ খেলে গেছে…
উন্মোচন
অবিরত মনে পড়ে সন্ধ্যা শহর
নখের দর্পণে রেখে ঘাসগন্ধ হরিণ তুমি
শিকার না করে মুগ্ধতার মোহে ভুলে আছো
ভুলে আছো কত জন্ম শাল্মলী বৃক্ষ
হায় উদাস
রোদ্দুরের কাছে মেঘস্পর্শে সজল রেখেছে
যে আমি ভুলেই গেছি নখের আঁচর
অপেক্ষার কাছে উপেক্ষা বেশে কেউ
সিঁড়ি বেয়ে উঠে এলো বুঝি?
শেষ হলে উপকথা, পারে চলে গেছে, যাত্রী দল
অবিরত অবিরত শুরু যদি বিলাবল হয়
কানে কানে কলতান
প্রাণাধিক উৎসারণ কালে
উন্মোচিত হতে পারো, যথার্থ প্রহরে