সূরজ দাশ-এর কবিতা
আদিবাসী ভোরের উঠোন
অন্তত নিজের কাছে আর একবার যেতে চাই
জীবনের যত ছুট ছাট কথাকলি থেকে গেল
সে সব বলতে চাই, কানে কানে জিরাফের মত
তোমাকে দেখাতে চাই শিকড়ের ধস্ত অন্ধকার
কোনও এক দ্বীপ খণ্ড, ওঁরাও যুবতী, তার সাথে
কি করে কেটেছে ঘন কুয়াশার সীমান্ত শৈশব
এ সবই দেখাতে চাই, মঞ্চে এসো, দেখো প্রদর্শনী
এই যে দেখছো ছায়াছবি, বায়স্কোপ, এখানে সন্ধ্যার
গা ঘেঁষে দাঁড়ালে ফুটে উঠবে আকাশ, নক্ষত্রেরা
গর্ভধারণের আগে ঘনিষ্ঠ আঁধারে দেবতারা
ছড়াবে পরাগ, ফুল, হুলুস্থুল পার্বণের শেষে
কীভাবে এখানে মানুষেরা মাখামাখি থাকে আজও
এ সবই দেখতে চাই, দু’হাতে কুড়িয়ে সেইসব
ফুসফুসে ভরে রাখি আদিবাসী ভোরের উঠোন
তুমি তাকালেই বৃষ্টি নামে
কেউ জানে না কাল আমার
কি করার কথা ছিল
কেউ জানে না কি কথা কাকে দিয়ে
অভ্র সাগরের সুড়ঙ্গে উথাল পাথাল
হয়েছি সারা রাত
তুমি তাকালেই তো বৃষ্টি নামে
মেঘকুঞ্জের পাশে জেগে ওঠে
তিমির বণিক
অপেক্ষার রাত্রি শেষে এইখানে
আলো পাবো বলে
উড়ন্ত আঁধার চূড়ায় বসে থাকি ইহকাল
স্তব্ধতা মেখে পরস্পর
ফিরতে চেয়েছি জল জমি আগুনের কাছে
হাওয়া বাতাসের সাথে যেতে চেয়েছি
আদিগন্ত ফসল বারান্দায়
এই নিশিগন্ধা সানুদেশ জুড়ে
পুরাকাল থেকে তুমিই থাকো
পূর্বপুরুষের চলে যাওয়া পথে
বিছানো ঘাস ছিল
সীমানারুদ্ধ পরিখা ছিল
নদীর তলদেশ জুড়ে ছিল মায়া মোহ মুগ্ধতা
এবারের বর্ষা শেষেশরৎ শরৎ আশ্বিন হবে দেখা
ধুন্ধুমার ছায়াকাল পেরিয়ে
মুখোমুখি দেখা হবে তুমি আমি হা – হুল্লোড়
দ্যুতিময় পাহাড়চূড়ায়
স্তব্ধতা মেখে উজাড় মধ্যাহ্ন হবো
আর কেবলই বুকে পাতব কান, পরস্পর
Durdanta