শোলে : সব্যসাচী সান্যাল
ডুকরে ওঠেন ঠাকুর বলদেব সিং—‘ও গব্বর, হাত না থাকলে খামু ক্যামনে আর ছোচাইমুই বা ক্যামনে?’ গব্বর গর্জায়—‘ম্যালা ক্যালর ম্যালর করসো, অহন চুপ কইরা হাত দাও দিনি ঠাকুর’– নাচ থামিয়ে বসন্তী ছুটে আসে, শাম্ভা, কালিয়া, পান সিং, পুতলী, ফুলন, মৌসি, গাঁওবাসী…এই ঘামাসান হুড়োহাপলির মধ্যে কাঁপাকাঁপা গলায় ইমাম সাহেব বলে ওঠেন –‘ইতনা সন্নাটা কিউঁ হ্যায় ভাই!’ আর সব স্পিকটিনট হ’য়ে যায়। বুজুর্গ মানুষ, মানসম্মান বলেওতো কিছু আছে, সে যতই শোরগুল আর সন্নাটা গুলিয়ে ফেলুন।
তুলসীকাঠের কণ্ঠি আর রসকলি ধারণ করলেও, বছরের এই দিনটায় গব্বরের মাথায় খুন চাপে। বাঁই বাঁই ক’রে খাঁড়া ঘোরায়। লোকজন গর্দান তেত্রিশ ডিগ্রি বেঁকিয়ে চলাফেরা ক’রে। হদ্দভোঁতা হলে কী হবে, খাঁড়া তো রে ভাই, লেগে গেলে রক্তপাত অবশ্যম্ভাবী। অবশ্যম্ভাবী শব্দটার মানে অবশ্য কালিয়া জানে না। শাম্ভা নাইটস্কুলে নার্সারিতে সংস্কৃত শিখেছিল; বলে—‘হৈ পুরাকাল মেঁ “অবশ্য” নাম কা একঠো রাজা থা উসকী ভাবীজান’। ঠাকুরের রক্তমাংসের হাত কবেই কাটা গেছে। প্রস্থেটিক হাত, তবু বছরে এই একদিন গব্বরের তা কাটা চাই। ঠাকুরেরও হেব্বি নখরা। ফুঁপিয়ে একশা। গব্বরের সমস্যা রিচুয়ালে রক্তের অভাব। চ্যাংড়া পন্ডিত বোমশংকর বলে—‘হিঁদুর পোলা তুই, চালকুমড়া মনে কইরা চোপ দে গবরা’—গব্বর কিছুতেই গনগনে তন্দুরিমাথায় চালকুমড়ো আর হাত মেলাতে পারে না—এক শালা গোল হ্যায় তো দুসরা সিলিন্ডার, মেলে ক্যামনে? পন্ডিত ব’লে—‘আরে, দামড়া ইক্ষুই ভাইবা ল’—গব্বর চোপায়। দু’টুকরো হাত দেখে ঠাকুর কাঁদে—‘শালায় জগন্নাথ কইরা দিল, আমার ব্র্যান্ড নিউ ইটালিয়ান লেদারের হাত চাই, ষ্টীল ফ্রেম’। বাসন্তী লোক পাঠায় দূর দূর গ্রামে, কে সম্প্রতি ইটালি গেছে তার খোঁজে। কালিয়া ব’লে—‘সোনিয়া গান্ধী কো পুছুঁ কেয়া? ইটালিয়ান ভী হ্যায়, পঞ্জা ভী হ্যায়, চুনাও পরতীক’। শাম্ভা শিক্ষিত ডাকু, তার ডাল সহজে গলে না, বলে—‘পঞ্জা সে কা হইব? পুরা হাত চাহি, তা বাদে, সোনিয়াজি এখুন ভারতী সিটিজেন; উসব হোবে না’। তবুও গাঁওবাসী আর ডাকুজন সালিশি করে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখতে ব’সে। একা ধন্দে পড়ে কালিয়া—‘ই সসুরা “সিটিজেন” কী আছে বে?’—শাম্ভা ব’লে—‘যো নাগরিকের খুল্লমখুল্লা সিটি মারার পারমিশান আছে…’—কালিয়ার হৃদয়ঙ্গম হয়—‘কোয়ল, পপীহরা সিটিজেন, কাউয়া গ্যার’
যদ্দিন না ইটালিয়ান হাত যোগাড় হচ্ছে, মাতাল হরিরামকে দায়িত্ব দেয়া হয় তিন বেলা ঠাকুরকে খাওয়ানোর। শাম্ভার দায়িত্ব শৌচ আর কুস্থানে চুলকানি সামলানোর। গজগজ করে শাম্ভা—‘সাল্লা, কী হোলো ইতনা পঢ়াই-ওঢ়াই কোরে, এখুন বোসে বোসে ঠাকুরের গাঁড় খুজলাও। ভূতনী কে আওলাদ গব্বর– কাটনা হি থা তো বসন্তীর হাত কৌনসা পাপ কোরিয়েছিল?” শাম্ভার মাথায় বসন্তীর নাম আসতেই, গব্বরের রসকলিতে ঢেউ খেলে, একপাল প্রজাপতি সারা আকাশ জুড়ে চিরিক মিরিক করে জেগে উঠতে থাকে, মাদার কাঁটা এড়িয়ে ফুলের ওপর ঘাই মারে নূরজাহাঁ পাখি। রাধা বিটিয়ার অর্দ্ধভূক্ত কানপুরী চপ্পল থেকে মুখ উঠিয়ে নাদুসনধর ছাগশিশু ডেকে ওঠে –ম্যাআআ…।
রবীন্দরনাথ ভলা ইন্সান–পাপ-পুণ্যের বিচারবাছাই করেন না, চম্পারণে ভূমিকম্প হ’লে এস্রাজে দুঃখ সাধেন, গানহী বাবার মত পরিজন হারানো মানুষ’কে বকেন না—‘পাপী হো তুমলোগ, তোমাদের দোষেই ভূচাল হোলো’। জনমানবের সাহায্যে সদা হি উদগ্রীব—সুনির্মল বসুর ভক্ত—বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি বগেরা বগেরা—পাসোলিনি ডাকলেও হাজির, মুসোলিনি ডাকলেও। মুসোলিনির আহ্বানে সেই মুহূর্তে ইটালিতে– রোমা, নাপোলি, ভেনিস, মিলানো—দিবে আর লিবে, মিলাবে মিলিবে…। তো আর্জেন্ট টেলিগ্রাম, সেন্ডারস বসন্তী অ্যান্ড গব্বর ফ্রম রামগড়, ভায়া টেলিগ্রাফার পন্ডিত ঝুনো নারিয়েল দুবে—ওং হ্রিং ক্রিং ব্রিং প্রস্থেটিক লিম্ব ফর ব্রাদার ইন নো আর্মস ঠাকুর সাহাব স্টপ ইটালিয়ান মার্বল থুড়ি লেদার স্টপ কাম শার্প। পত্রপাঠ। প্রথম স্টপ কলকাতা, জ্যোতিদাদা বলেন—‘কী রে মুসোলিনিকে ঘুষোলিনি?’—এক চিলতে হেসে, কোনোক্রমে হাত, হোমিওপ্যাথির হাতবাক্স, এক প্রস্থ আলখাল্লা, নাইট রাইডার জাঙিয়া (ট্রিপল এক্স এল; ফর গব্বর) আর পার্কার কলম গুছিয়ে সিধে রামগড়ের ট্রেন।
গব্বরের দল বহুকাল আগে ভেঙ্গে গিয়েছিল। শাম্ভা নাইটস্কুলে, কালিয়া গেছিল দেশে, ছাপড়া জিলা, ক্ষেতিবাড়ি করতে। বাকী ডাকুরাও কেউ চাষাবাদ, কেউ লেদার ফ্যাকট্রি, পাটকল, ধানমিল, গোলগাপ্পার দুকান… গব্বর খোদ কীর্তনের দলে। ২০১৬ থেকে ফের একজুট। ২০১৪-য় গোবরপার্টি চুনাও প্রচারে বিলাইত থেকে লেনন সাঁইকে নিয়ে এল, আর পাঞ্জাপার্টি লালন সাঁই। লেনন সাঁইয়ের গোল চশমা, ঢুলু চোখ, গীটার বাদ্যির কাছে কী আর একতারা, গাবগুবাগুব -সম্বল লালন সাঁই দাঁড়ায়? লেনন সাঁই গান ধরলেন—‘অল উই আর সেয়িং ইজ গিভ শিট আ চান্স’—জনমানসে, মনোপেনিসে বেইন্তেহা বেশুমার বেগুলগুলা হুলাহুপ্পা লেগে গেলো—পাঞ্জাপার্টি হেরে ছত্রখান। ২০১৬-য় এলো নোটবন্দী। খেতে পরতে না পেয়ে কামকাজ হারিয়ে ফের সব রামগড়। শুধু পুরোনো আদমীরাই নয়, ফুলন-ঝুলন, পুতলী-সুতলী যমজ বহনা, পান সিং তোমর এমন কী শিলিগুড়ি থেকে কালীরাম। কালীরামের অবশ্য অন্য গিরোহ, কিন্তু চেহারা হুবহু গব্বরপ্রতিম, একটু মোটা এই যা। নার্সারিতে নিউক্লিয়ার ফিসিক্স পড়া শাম্ভা বলে—‘মিটার আর অ্যান্টিমিটার’—কালিয়া, ব্যাপারটা জানতে চেয়েছিল—শাম্ভা বলেছিল—‘বম্বই নগরিয়াতে যাদের ইলেকটিরি বিল জ্যায়াদা আসে তারা মিটার সে একহাত দূরে অ্যান্টিমিটার লাগায়, টাচ যেনো না কোরে, টাচ কোরলেই বিস্ফোট, একহাত দূর থেকে এ উকে ক্যানসিল করে আর মিটার ঘোরে না। ই সালা কালীরাম আর গব্বর যদি হাত মিলায় তবে দু’জনাই বিস্ফোট হয়ে উড়ে যাবে’। কালিয়া হৃদয়ঙ্গম করেছে—‘ আর যাকেই সালা টাচ করো, কোনো আন্টিকে টাচ করলেই বিস্ফোট’।
২০১৬ সাল থেকে ফের একজুট, রামগড়। কিন্তু কেলো করলে গাঁওবাসী– নোটবন্দীর ফলে ক্ষেতিবাড়ি বন্ধ, মাহাজন ফসল নিয়ে চেক দেয়, মহকুমায় একখানাই ব্যাংক, কামকাজ ছেড়ে লাইন লাগাও, কাউন্টারে পৌঁছলে চেক বাউন্স ক’রে, বিভুঁই-বিদেশে গিয়ে যে মুনীষ খাটবে তারও উপায় নেই, ক্যাশের অভাব; দাদন নেই– তো, তারাও স্থির করলো সব্বাই ডাকু বনবে। গব্বর তো খচে কিংখাব—‘সবাই হালার ডাকু অইব তো লুটুম কারে?’—নার্সারিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়া শাম্ভা বলল—‘বড়া ডাকু ছোটা ডাকু কো লুটতা হ্যায়—দাস সাহিব কা কিতাব মে আছে’। সে ক্যাপিটালিস্টরা যা ক’রে করুক, কাউয়া কী কভি কাউয়ার মাস খায়? ফলে সব গিরোহ মে সামিল– বসন্তী, মৌসি, জালাল আগা, ইমাম সাহিব, হরিরাম, বোমশংকর, নুনুয়া কা ভতীজা, হরিপদ কেরানী, নাটা লস্কর, রিংকিয়া কে পাপা……সব।
তো সবই যখন হল, এত্তবড় গিরোহ, তখন মনোবল, মরাল এইসব রাখতে তো একটা গিরোহসঙ্গীত লাগে। রবীন্দরনাথ দু দুটো দেশের জাতীয়সঙ্গীত লিখেছেন, ফলে সবাই গীতবিতান খুলে বসল। বসন্তী গায় খাসা, সাজেস্ট করেছিল—‘গোপন কথাটি রবে না গোপনে’—কালিয়া হাঁ হাঁ করে উঠলো—‘ই বুড়বক, চোর চোট্টা ব্ল্যাকমেলার কা গানা বা, দুসরা দেখ’। হরিরাম মাতাল, তদুপরি আংশিক কবি, বলে—‘হামরা সোবাই ডাকু হামাদেরি ডাকুর রাজত্বে’—নাটা লস্কর শিউরে উঠলো—‘বাপ রে! এ শালা কমিউনিস্টি গান, তারপর বলে কি-না ডাকুর রাজত্ব? সেপারেটিস্ট, সিডিশান– মাওবাদী ব’লে পোঁদ খোখলা ক’রে দেবে, আমরা ডাকু আছি ভাই মাওবাদী নই’—কালিয়া সহমত—‘সহি বাত, ডাকুদের অত জান কা খতরা না আছে, জেলে ঘুসলে ইজ্জত ভী আছে, হোলি-দিবালী তে মুলি কা পারাঠা ভী আছে’। পান সিং গান জানে, বাঁধানো দাঁত জোড়া খুলে তাই দিয়ে সুপুরি চেবাচ্ছিল, বলল –‘”কালী কালী বলো রে আজ”; রাগিণী বেলাবতী—চলেগা?’। এমনিতে আদর্শ ডাকুর গান, তবে ইমাম সাহেব, জালাল আগা বাদ পড়ে যাবেন, আর ডাকুদল নিহায়তই ইনক্লুসিভ গিরোহ, ফলে প্রস্তাব চাগিয়ে উঠেও চাপা পড়ে যায়। কালিয়া জানে না—‘ই সসুরা ইন কুলুলু কা হ্যায়’। নার্সারিতে শেক্সপীয়ার পড়া শাম্ভা বলে—‘ইন মতবল অন্দর, ক্লু মানে সুরাগ আর সিভ মতবল ছলনি—জোড়কে হোতা হ্যায় অন্দর সে সুরাগ নিকালনে বালা ছলনি—সি আই ডি দেখেঁ নহী কা?’। কালিয়া হৃদয়ঙ্গম করে– ‘ইনকুলুলুলু… ধোর শালী সাকি নাকি তেরি মাকী…দাঁত কা দুশমন’। ইমাম সাহাব বললেন—‘জো সোচনা হ্যায় জলদি সোচো, ডিলেমা উলেমা ঠিক নাহি হ্যায়। ডিলেমা জানত হো? বয়েল কে দো সিং, কৌন সা পকড়ি চট সে ফয়সলা করনা হ্যায়। অরে, জুগনুয়া কে বয়েল হমকা গিরাকে ঢুসন চাহি, হম সমঝই না পাহি, কৌন সা পকড়ুঁ– দোনো আখোঁ মেঁ ভুকিয়ে দিয়ে অন্ধা কোরে দিলো’। নার্সারিতে দর্শনশাস্ত্র পড়া শাম্ভা অ্যানালজি দেয়—‘উ জানবারোঁ কা ডাগদর পান্ডেসাব ভঁয়সাকে দবা খিলাতেন মু’তে পাইপ দিয়ে। ভঁয়সার মু’য়ে নল ফিট কোরে দবা ডেলে জোরসে ফুঁক মারতেন, দবা সিধা গলে মেঁ। একদিন হোলো কী, ফুঁক মারতে গেলেন, আর ভঁয়সা তাড় সে ছিঁকে দিলো, দবা উলটা রিবাউন্ড মার কে পান্ডেজীকে পেট মেঁ। সেই থেকে পান্ডেজী ডিলেমা মেঁ—বো ইন্সান হ্যায় কী ভঁয়সা।‘ কিন্তু ডিলেমাসংক্রান্ত সমস্ত সাবধানবাণী সত্ত্বেও সমাধান আর হয় না।
রামগড় স্টেশানে সে রইরই কান্ড। রক্তমাংসের হাতে বাক্স-প্যাঁটরা আর প্রস্থেটিক দু’হাতে দু’হাঁড়ি পান্তুয়া ঝুলিয়ে ট্রেন থেকে নামলেন রবীন্দরনাথ। গব্বর ছুট্টে গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে দিল, মৌসি জবা। বসন্তী ঘুরে ঘুরে নাচ—‘তু শায়র হ্যায়, ম্যায় তেরী শায়রী’। কপালে শিমুল কাঁটার চন্দন লাগল। দিয়া ঘুরলো দাড়ি ঘিরে। ধন্নোর টাঙ্গায় রবীন্দরনাথকে তুলে সব্বাই চলল গাঁয়ে। আসলে, শুধুই তো ঠাকুরের হাত নয়, গিরোহসঙ্গীতও তো লেখাতে হবে, নতুন, তাজা।
ঠাকুর বলদেব তাজা, খুশ, তর, বেতর– বনফায়ারে স্লিভলেস গেঞ্জিতে সবাইকে ইটালিয়ান লেদারের নতুন মশমশে হাত দেখাতে ব্যস্ত। কাঠামো, নাকী স্টিলও না, গ্রাফাইটের। হাল্কা, মজবুত। এই না হলে রবীন্দরনাথের জিগরা! দরাজ দিল! শুধু কী রবীন্দরনাথ? লালন সাঁই, লেনন সাঁই, কিশোর দাদা, রফি সাহিব, প্রীতম, অনুপম সব্বাই হাজির। গীটার, দোতারা, এস্রাজ। খোলা আকাশ, তারায় তারায় বুলবুল ক’রে আলোর দুধ। নিচে ভরপুর গাঁজা। খাল্লিস নেপাল। ডাকুজনের অনুরোধে সব্বাই ভরোসা দেন এক তুমুল গিরোহসঙ্গীত লেখা হবে। হব্বেই। তাতে দু’চার’দশ দিন লাগলেও সমস্যা নেই।
গান ধরে আগা জালাল, পরনে লাল ঘাঘরা, হাতে ট্যাম্বোরিন—
‘চট দেনি মার দেলি খিঁচ কে তামাচা
হিহিহিহি
আরে হিহিহিহি
হিহিহিহি হঁস দেলে রিঙ্কিয়া কে পাপা’
সব নাচে, সব্বাই নাচে…।
=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=0=
গিরোহসঙ্গীত (বাই রবীন্দরনাথ আউর লেনন সাঁই)
ডাকাতের বায়ু, ডাকাতের জল, ডাকাতের পায়ু, ডাকাতের মল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে জ্যাকি চ্যান।।
ডাকাতের গোলা, ডাকাতের মাঠ, ডাকাতের গৃহে যত সাঁটগাঁঠ
পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক হে জ্যাকি চ্যান।।
ডাকাতের পণ, ডাকাতের আশা, ডাকাতের ট্যাঁকে যত মাল ঠাসা
ট্যাক্সফ্রী হউক, ট্যাক্সফ্রী হউক, ট্যাক্সফ্রী হউক, হে জ্যাকি চ্যান।।
ডাকাতের প্রাণ, ডাকাতের মন, ডাকুয়ার ‘ঘোরে’ ‘যোতো’ ভাইবোন
বন্য হউক, বন্য হউক, বন্য হউক, হে জ্যাকি চ্যান।।
Posted in: Cover Story, July 2019
👌