নির্মাল্য ঘোষ-এর কবিতা
ধারাহীন
নিস্তব্ধতার ফাঁক দিয়ে শুরু করে কৃতজ্ঞ চোখ হওয়া
একটানা এক টুকরো অংশ হাই তোলার কাজে
মাঝারি শিল্প সংস্কৃতির মধ্যে ঝাঁপ দেব বারবার
আমি কোনদিনই বিরক্ত খামতি থেকে বেড়িয়ে
দেদার হব না
এক টুকরো মাংস ফল হয়নি শুধুই খোঁজে
মাছের আড়তের গন্ধগুলো নিশ্বাসে
ব্যতিক্রম থেকে অতিক্রমের অতিক্রমণ সোজা ছিল না
যদিও সাম্যবাদী কিম্বা ধর্ষণের
রঙে আমার খিদে পায় না
লেখা পায়
এন্টি-পোয়েট্রি ধারায় প্রতি-কবিতা হওয়ার লক্ষ্যে
ইনসমনিয়া কবিতায় ঘুমায়
উত্তরণ
রক্ত ধ্বনির ভিতর দিয়ে অনীক চীৎকার
আত্মহারা বিষ
নীল নীল রঙ বদলানো
একটুকুও সে নেই
ধ্বনিতে শিলনোড়া
এক এক দিনের অভ্যেস
স্বঘোষিত বজ্রকন্ঠ
একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকা
শ্যাওলা অথবা ঝড়ের
উত্তাল দিনভর
একটু অন্যরকম পালাতে পালাতে
বিদ্যুতের আলো লেপা
পর্যায় সারণী ভেঙ্গে ভেঙ্গে
প্রলাপ প্রলেপ খেলা
এক চিলতে সিঁদুর আলো
বুক নিঙড়ানো একটা বুক
একপ্রস্ত ধমকানো আর
উত্তরণের মেঘ মল্লার ইতিহাস
মমিজ
আমি মরতে মরতে লাশ গুনি
একটুকরো খাবার পোড়ামাটি হয় রাতভর
আমি এঁকে এঁকে পথ ভাঙ্গি
কিছু গণ্ডি কিছু গল্পের প্রতীক্ষায়
যে গোনা গুনতি লাশ জেগে থাকে
তার চারপাশে মিশর বানাই
লাশ হাটি লাশ শুই
নীল নদে পাথর ঘুমাই
নাভিদেশে মমি মাখি
পিরামিড দিয়ে তুতান খামুন
শিখি
তারপর বালু থেকে জলজ হই
অভিশাপে মমিজ সহবাস রাখি