নবেন্দু বিকাশ রায়-এর কবিতা
ঋ, রিরংসা, আদরের লেখা
১।
একদিন ঠোঁট তার বাস্তবিক লবণ নিয়েই এসেছিল
মুখের গোড়ায় এগিয়ে দেবার বিষ নেই, আলো নেই
আমরা দেখতে পাইনি সূর্যাস্তের শান্ত ও আশ্চর্য রশ্মি
ঝিনুক ভেদ করে সোজা যা ছড়িয়ে পড়ে সমান্তরাল
সফেন সৈকত জুড়ে কারা সাজিয়ে রেখেছে সুপবন
তাকে অস্বীকার করার পর প্রথম কাগজের নৌকো
যেসব নুন নিয়ে বসন্ত বানাতাম হলিডে জুড়ে জুড়ে
বিশুদ্ধ ছোঁয়ায় আমাদের ত্বক হয়ে উঠেছে স্বপ্নকাতর
তারা থিতিয়ে পড়ার আগে আমাদের ঠোঁটে জমেছিল
আর বেজে উঠেছিল বেহেড সমুদ্র একঘর বেলোয়ারি
২।
পিয়ারীর আদ্যোপান্ত ও
মাত্রা বুঝে বানানো পেয়ালা
আমার না। আমার নয় তরলের পাপ বা প্রায়শ্চিত্ত
ফুরিয়ে যাবার আগে তোমার পেয়ালার ভেতর ঢুকে ঘুমিয়ে পড়ি
চাবুকে চাবুকে গ্রাম উজাড় করা চিৎকার
বুকেতে সারা সাতের ঘাম লেপ্টে কতদিন বাদে
একটা চমৎকার ভোর, একটা দরজা নিয়ে অপেক্ষা ক’রে কেউ…
কীভাবে ফেটেছে পিয়ারী ছায়ার মধ্যে একা
এভাবে নিশির ডাকে যেতে নেই
ঘুমোতে নেই পেয়ালা পেরিয়ে একা।
৩।
বড় আন্তরিক এই জবা উহাতে জাল রেখে যে চলে গেছে
তাহার কথা ভাবে বাঞ্ছারাম। ভ্রমণ অমনিবাস অনেক হল
এবার গ্রামের পথে এসো বসো অরণ্য ও খামার দিয়ে ঘেরা
এই পদচিহ্নে। জবা একরকম হ্যান্ডস আপ, নিবেদিত এই
বর্ণবিপর্যয় রেখে তুমি গেলে
মুঠোভর্তি কাচ নিয়ে ছুঁয়েছি তোমার ক্লিশে হয়ে যাওয়া হাত
নোকিয়ার মত যা রক্তাক্ত ও কপাল ঘেঁষে চলে যায় একটা
নিপাত যাওয়া বজ্রযান যাক আমি তো পেয়েছি এই জবা মন্ত্রপূত
বড় চক্রের মত এই জাল বারবার ফিরে আসে প্রফুল্ল পরাগ।
দারুণ দারুণ