অরুণ পাঠক-এর কবিতা
ধর্মযুদ্ধ
বলব আর আশ্চর্য করে তুলব
এমন দোপাটি ফুটে উঠল যেন ভাষামুখ
ক্রমশ উচ্চতর দর্শনে আলো আর আহ্বান থাকে
মুখ বন্ধ, রক্ত নেই, চিৎকারও নেই
এবার গাছের ঝুঁটি মাটিতে ঠেকাও
তোমার ত্রিকোণ চোখে সদ্য জাগা শোকচ্ছায়া
আমাকে বসতে দেবে কি?
আকাশ বিশ্বস্ত। তাকে রক্ষী করে
বসে আছে সৈন্যের পাহাড়
গোধূলি রঙের কাছাকাছি মুখ মুখস্থ স্বপ্নের
সম্মুখে দারহায়। এই আঁধার-তিক্ত কালে
আমরা কেউ ধর্ম যুদ্ধে নেই
যে কোনও প্রস্তুতি শুরু করছে উড়ে আসার
আমি সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি স্থগিত দিনে
বৃত্তাকার স্তব্ধ শ্বাস এক উঠোন
সেখানেই আঁকিবুঁকি অস্ত্র ধরে জীবন কাটছ তুমি
জরা
পাগলের কাছে আহত হরিণী রেখে গেলে
পাগল হরিণী চেনে না, চেনে কেউটের সপসপে জিভ
তবু তোমার ঘুমন্ত মুখ মনে করে
সে আগলে রাখে একটি জীবন্ত দ্যুতি
যার আত্মা এখন রোগগ্রস্ত
উৎসাহ ছিল না শুধু ঘুম পাওয়া এক মানবীর
সব কিছু সাধারণ্যে ফেলে যাওয়া
এই আচরনে পাগল ও হরিণী এক সঙ্গে
সুস্থ হয়ে ওঠে, তখন বিষাদ গ্রস্ত তুমি
পৃথিবী নামক একটি অসুখী গ্রহের বিরুদ্ধে যাও
কাঁধ থেকে জরা ঝরে পড়ে।