রোয়াল্ড হফম্যান-এর কবিতা অনুবাদ – অনিন্দ্য রায়
চতুর্থ কিস্তি
প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতি
(MODES OF REPRESTATION )
একটা আদ্যিকালের কেমিস্ট্রি বই নিলে
দেখবে
রাসায়নিক নিরীক্ষার
সব কাটাকুটিই
প্রস্থছেদে ।
জলের চিহ্ন
ধারক রেখায়, সর ।
(পাত্রের গায়ে সত্যিই কুঁকড়ে আছে)
আর এর নীচে
এক সমুদ্র
সোজাসুজি অনুভূমিক অভিঘাতে
এলোমেলো উল্লম্ব হয়ে পড়ছে সযন্তে।
সব ছিপিই
অন্তর্দৃষ্ট।
না ভিজে, প্রতিবিম্ব ছাড়াই
সব আধারের অভ্যন্তর
দেখতে পাবে
আর তামার কনডেনসারে
প্রতিটা গিঁট বিশ্লেষণ করতে পাবরে।
সাইপ্রাসবীথি অথবা ভোরের টিপলিপের মতো
অগ্নিশিখা
আর ক্লী-র কিছু তির
বায়ব আর তরলদের ঠিক পথে নিয়ে যায়।
কখনো এক অশরীরী হাত
পাত্রটি তুলে ধরে কখনো।
কখনো অপলক এক দ্রষ্টার চোখ।
১৯২০-র আশেপাশে
আলোখোদাই-য়ের কাজ
খরচের সাধ্যে এল
আর জাঁকিয়ে বসল।
বিশাল সানাই-য়ের মতো
সাতমহলা শোধনস্তম্ভ
(এই উপলক্ষ্যে পরিস্কার করা হয়েছে)
প্রতি পাঠকৃতিতে গোলাপ
আর রাসায়নিকের স্তূপ, পরিনামে রঙিন।
হঠাৎ-ই
জল আর কাঁচ, সকল প্রিবিম্ব
জটিল হয়ে ওঠে।
ভাবতেই তো হয় আলো নিয়ে
এই চিত্তাকর্ষক যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে বসেছে যে মানুষটি তার
যৌনতা নিয়ে
জামাকাপড়ের মাপ আর কেতা নিয়ে।
গাড়ির মডেল আর চুলের ছাঁট
বইগুলোকে
ভেতরের রসায়নের চেয়ে
বেশি করে সেকেলে করে তোলে।
এই সময়েই
একটা সাধারণমানের নিরীক্ষার কাজে
ছাত্রদের অধঃপতন
লক্ষ্য করেন শিক্ষকেরা।
একটি সূর্যাস্ত দফা
(A sunset clause)
তার ওই ছাইধূসর ত্বক দেখেই
তুমি বলতে পারো এই শরীর
গেছে আগুনখেলায় বেঁকে
পারে না হাঁটতে, কইতেও, তবু
শামুকচোখে খুঁজবে তোমায়।
প্রমিথিউসকে শব্দ-বাজানো চিঠি
লেখে সে তার একটা খোলা হাতে।
লেখে, সখা হে, ধরে আছি
ডাইনোসরের ডিম, নিজের
অসিয়াম-অসিয়াম বন্ধন করে
তুলেছি বিশুদ্ধ ধাতুর চেয়েও
শক্তিশালী। একটা সীল দেখেছি
আমি, ও জলে ঝাঁপ দিলে
মনে হল এই ব্রহ্মাণ্ডের প্রান্ত
আছে নিশ্চয়ই। হুইলচেয়ারে
ভেসে বেড়ায় সে, দুটো রেকর্ড
বাজায় স্ট্যান গেৎজ আর জোয়াও
গিলবার্টো কৃত থিওডোরাকিস।
তার চোখ নাচে, তার বন্দি মন
অনন্তকাল ধরে উড়ে চলেছে,
পরের চিঠিতে প্রমিথিউসকে
জিগ্যেস করার জন্য উদগ্রীব
হারকিউলিস ঈগলের কবল
থেকে তাকে মুক্তি দেওয়ার পর
কী করেছিল, কোথায় গিয়েছিল সে
সে এখানে স্ত্রীলিঙ্গবাচক (she), শেষের ‘সে’ কেবল he, প্রমিথিউসকে বোঝাতে। একটি অব্যয় ‘ও’ ব্যবহৃত হয়েছে সামুদ্রিক প্রাণী সীল-কে বোঝাতে।
Posted in: July 2019, Translation