প্রীতম বসাক-এর কবিতা
জলের চমৎকার
জলের চমৎকার চলো ভাগ করেনি। পাগলের আয়ু থেকে যেটুকু অভিমান আলো হয় গাছ হয় সেটুকুই আমাদের প্রাগৈতিহাসিক চাকা। গমক্ষেতে জমে থাকা ঘাম এবং মেধা। মানুষ, শুধু অকাতর মানুষ জানে ক্ষুধা থেকে কিভাবে উঠে আসে জলপরী কিংবা পীরের চাদর। দেখো আমার আঙুল ধসে গেছে ফসলের ডানা বুঝে নিতে নিতে। আমি খুঁটে খুঁটে জড়ো করছিলাম কেন্নো আর ভাতের টুপ। নদীতে নেমে আমি বুঝে নিতে চাইছিলাম বেঁচে থাকার সরল ইঞ্জিনিয়ারিং। গিলি গিলি ছু। আমার দেরী হয়ে গেছে মানুষের চরিতকথা বুঝে নিতে।
নৌকাবিদ
দৃশ্যের বাইরে রাখি দূষণের ভূমিকা। আমি নৌকাবিদ হতে চেয়েছিলাম। আহত ইঞ্জিনিয়ার। সময়সময় সহজ পঙক্তি আঁকি। মোষের পিঠে হাত রেখে তার কেঁপে কেঁপে ওঠা শুনি । তুমি কিভাবে নিরীহ ঠোঁটে রাখো প্রাচুর্য। ফসলে রাখো মুঠোর আলাদিন। ক্যারাভানের বিষণ্ণতম উট উল্কাপাতের গাঢ় আলো দেখে জন্মের কাছে জাহাজ পেতে বসে। জলের জন্য তার মন টাটিয়ে ওঠে। আমি তাকে ঈষদুষ্ণ তৃণক্ষেতে ছেড়ে আসি।