‘অপরজন’-এর মেল বক্স : সংযুক্তা পাল-এর চিঠি

প্রিয় সম্পাদক

‘অপরজন’ পত্রিকা

‘অপরজন’ পত্রিকার এপ্রিল ২০১৯ ওয়েব এডিশন, ‘জাতীয়তাবাদ ও বর্তমান ভারত’ পড়লাম। এই জাতীয় প্রবন্ধের ক্ষেত্রে যেটা চোখে পড়ে পুনর্কথন কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রতিটা প্রবন্ধ বিষয়কে ছুঁয়েছে স্বতন্ত্র দিক থেকে।

আদিম হিংস্রতার নগ্নরূপ—মানুষ আসলে সরীসৃপ, যে সময় বিশেষে দাঁত নখ বের করে। আধুনিক মূল্যবোধহীনতা যা জাতীয়তাবাদকে শিখণ্ডী রেখে মানবতাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।

ধ্রুব সত্য বলে কিছু হয় না। বিশেষত: মানুষের মনোজগতের ক্ষেত্রে। ব্যক্তি যূথবদ্ধ হলে সমাজ, আবার সমাজে প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব ধ্যান ধারণা। সুতরাং আপেক্ষিকতার একটা জায়গা থেকেই যায়। তাপস কুমার দাস, ভিষক গুপ্ত, অনুরাধা কুন্ডা—এঁদের লেখাগুলো এই ভাবনার বৃত্তকেই সম্পূর্ণ এবং সমৃদ্ধ করে।

রং বা খবর কোথাও স্বাধীনতা নেই। রবীন্দ্রসঙ্গীত ও শোনানো হয় জোর করে। ভাবুন একবার, আমার মনে হয় অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়ে যেমন ভয়ঙ্কর বর্তমানে এই অর্ধশিক্ষাও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। আর প্রথম থেকেই কিন্তু ঔপনিবেশিক প্রেক্ষাপটেই জাতীয়তাবাদের মধ্যে ধর্মের প্রচ্ছন্নতা রয়ে গেছে। ভারত কে মা হিসেবে কল্পনা করে দেবী মূর্তির আরাধনা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রেক্ষিতে দেশের সার্বভৌমত্ব, জনসংখ্যা, ভূখণ্ডের নিরিখে যে সংজ্ঞা দাঁড়ায় তা আর খাটেনা সেখানে। অথচ দেশ তো বিমূর্ত ধারণা।

কৌশিক বাবুর সমালোচনাকে বেশি নিরপেক্ষ বলে মনে হয়েছে। নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি। তার সূত্র ধরে এটাই বলা যায় ফেক গণতন্ত্রের চেয়ে মানবতন্ত্রই মূল তত্ত্ব।

শেষমেশ সম্পাদকীয় পড়ে এটাই বলার গিমিকের সস্তা রাজনীতির ঐ ‘ফাঁদ’ টুকুই সম্বল। নির্বাচনে মানুষ ধরার ফাঁদ। যে যেভাবে ধরতে পারে।

ইতি,

সংযুক্তা পাল।

Facebook Comments

Posted in: Mail, May 2019

Tagged as: , ,

Leave a Reply