রোয়াল্ড হফম্যান-এর কবিতা অনুবাদ – অনিন্দ্য রায়
শীতের ওক-ভূমি
(Oak Land in Winter)
ওকগাছেরা
ছোট নদীর ধারে
কথা বলে
নিজেদের মধ্যে।
বলে
মহান ওকগাছ থেকে
জন্ম নেয়
ছোট ছোট ওকফল।
একটা
ওকপাতা
এমন নিবিড়
ভেসে বেড়ায়
যেন
ম্যাকরলের টুকরোকে
ঢেকে
রাখতেও
পারে।
মেঠোপথের
এক রন্ধনপ্রণালী ।
ওকগাছ লাগাও
বাড়িঘরের মাঝে
স্লালোমের কায়দায়।
বছর ষাট
যেতে দাও।
তাপমাত্রা
বদলাবেই ।
মাধ্যাকর্ষণে
ভাগ হয়ে যাওয়া
বাতাস ।
একটা
ওকফলের স্তূপ
আরেকটা
পাতার ।
শীত
প্রতিটা
পাতার
ধার
রুপোলি
করে দিয়েছে;
পর্ব
পরিবর্তন,
পুনর্মিলন ।
ওকফলের
বোঁটা
ফলের মতোই
সহজভাবে
খসে
পড়ে ।
সব চে
ভালো
পুরোটা
উঠতে পারে
যে
চড়ে
পাহাড়ের
মাথায়;
এর ছাল
তো
নোয়ার জাহাজ।
সেইসব
প্রাণীদের
বাদ
দিয়ে
যারা
অবশ্যই
দুয়ে দুয়ের
থেকে
বেশি করে
এসেছে।
লাল-সবুজ
দ্রাক্ষালতা
ডাল বেয়ে
এমন
দীর্ঘ
লতিয়ে ওঠার
শুরুতে
যার
শেষ নেই
দেখায়
তাদের
সেরা মুখ।
তাদের
রাজসিক
গোলপনা :
শাখার প্রান্তে
একটা
দম-
বন্ধ
প্রতিসম
বৃক্ষস্ফোট,
ভেতরে
একটা
কালো কোটর,
নাকি
তা
এর
বাইরে ?
বাছুরের
চামড়ার মতো
তামাটে
রঙে পাকিয়ে তোলা
পাতারা –
এর
বৃক্ষস্ফোট।
ঘন
ওকের
ঝোপ
স্বর
দেয়
বাতাসকে।
একটা মাছি
মাটির থেকে
তুলে নেয়।
একটা
ছাতা-পড়া
ওক ?
ছত্রাকে
স্তব্ধ,
তবু
বেঁচে থাকতে
চায়।
ওহ,
ঔপনিবেশিক
শুখা জমি !
তোমার ওক
কালো সোনার
আশ্রয় ।
আর কুকুরদের
বিমানচালকের মতো
তালিম।
ওকগাছের
কাছে
প্রার্থনা করার
আছে
নানা কারণ –
তারা
যে কারুকে
বলে
কোনো
যাজকের
থেকে
একটা কুকুর
তোমাকে
বেশিক্ষণ
হাঁটু গেড়ে
বসিয়ে
রাখবে।
কিছু
সবুজ, সারা বছর
টাটকা,
কিছু জ্যান্ত,
ঝরে পড়ছে,
বসন্ত অব্দি
পাতাগুলোকে
ধরে থাকছে
কিছু,
কিছু
ঝরতে দিচ্ছে
দুনিয়ার মতো,
সবরকমভাবেই
পেতে চাইছে ।
কুঁড়িগুলো
ফেঁপে
উঠছে,
কুঁড়িগুলো
ঠেলা
মারছে,
কুঁড়িগুলো
কতো সহজেই
করে ফেলছে
বাতাস
যা
পারে
না ।
( ম্যাকরল : সামুদ্রিক মাছ
স্লালোম : স্কি-য়ে ব্যবহৃত কৃত্রিম বাধা )
( কবিতাটি ২০০২ সালে প্রকাশিত রোয়াল্ড হফম্যানের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘Soliton’-এ সংকলিত )
Posted in: May 2019, Translation