বাতাসে বিষের ছোঁয়া – তাপস কুমার দাস

পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার দু মাস পূর্ণ হলো। জওয়ানদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে বোমাবর্ষণ করেছিলো ভারতীয় বিমানবহরের বারোটি মিরাজ যুদ্ধবিমান। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, আতঙ্কবাদীদের বেশ কিছু প্রশিক্ষণ শিবির  গুঁড়িয়ে গিয়েছিলো এই বিমানহানায়, হত্যা করা সম্ভব হয়েছিলো আড়াই-শতাধিক  জঙ্গিকে। যদিও সঠিক হতাহতের পরিসংখ্যান  সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়নি, সেভাবে, বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া হিসেবে অনেক অমিল রয়ে গেছে।

সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে ঝড় উঠেছিলো  সোশ্যাল মিডিয়ায়, ফেসবুক ও টুইটারে লক্ষাধিক মানুষ ভারতীয় বায়ুসেনার কৃতিত্বকে সাবাশি জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন।  তবে এই ঘটনায় নেটিজেনদের অভিব্যক্তি এখানেই থেমে থাকেনি – `আমাদের’ জওয়ানদের মৃত্যুর `বদলা’ নিতে গিয়ে যে `ওদের’ পাঁচগুণ লোককে হত্যা করা হয়েছে, তাতে লাগামছাড়া  আনন্দ প্রকাশ করেছেন লক্ষ লক্ষ নেটিজেন, পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষ রক্তলোলুপ হিংস্রতার সাথে মাথা গুনেছেন মৃত জঙ্গিদের।

বিষয়টি ইঙ্গিতবাহী, এবং দুর্ভাগ্যজনক।  নিজের দেশের সেনার মৃত্যুতে শোকের প্রকাশ থাকবে সেটা অস্বাভাবিক নয়, এবং সেই মৃত্যু যাতে পুনর্বার না হয় সেই দাবীও থাকবে বৈকি  রাষ্ট্রের কাছে। জঙ্গি আন্দোলন নির্মূল করা হবে কঠোরভাবে এবং সুরক্ষিত করা হবে দেশের নাগরিকদের জীবন—এই দাবি অন্যায্য নয়, এবং যেহেতু জনগণের ট্যাক্সের পয়সা রাষ্ট্র ও সেনাকে পরিপুষ্ট করে, সেহেতু কিভাবে, কোন প্রকারে ভারতের মাটি (এবং সীমান্ত) থেকে নির্মূল করা হচ্ছে আতঙ্কবাদ, তা জানার পূর্ণ অধিকার থাকবে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের। এটাই কাম্য। এটাই সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার লক্ষণ।

সেই অধিকার (যা কিনা এক অর্থে জানার অধিকার অর্থাৎ রাইট টু ইনফরমেশন ও বটে)  প্রয়োগ করার পরিবর্তে ভারতবাসী  যখন মেতে ওঠেন রক্তলোলুপ হিংস্রতায়, `শত্রুর মুণ্ডু কাটো’ নিনাদ তোলেন এবং প্রতিটি মৃত জঙ্গির মাথা গুনে গুনে আমরা-ওরার হিসাব মেলাতে শুরু করেন, তখন আতঙ্কিত না হয়ে উপায় থাকে না। শোক দুঃখ থাকবে, মানুষ মাত্রই থাকবে কিছু প্রতিশোধ স্পৃহাও, কিন্তু মানুষ মরলে (তা যদি বিপক্ষের জঙ্গিও হন) মাথা গুণতি  করে শুরু হয়ে যাবে এমন দানবিক  উল্লাস, এমন বীভৎস মজায়  মেতে উঠবেন  লক্ষ লক্ষ লোক যাঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই যুদ্ধ, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, জঙ্গিহানা ইত্যাদি সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, সামান্য জ্ঞান নেই সেনা বাহিনী এবং জঙ্গিদের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে—এই পরিস্থিতি প্রকৃতই ভয়-জাগানিয়া বই কী! মানুষের এই হিংস্র রূপ তো আমরা দেখতে চাইনি এভাবে। এ তো অস্বাভাবিক মনস্তত্বের লক্ষণ!  রক্ত দেখে (প্রকৃত পক্ষে তার খবর শুনে, স্বচক্ষে নিজের উঠোনে নিজের স্বজনের রক্ত দর্শনের অভিজ্ঞতা কেমন তা আমজনতার ধারণার বাইরে), মৃত্যু দেখে,  উল্লাস মানব মনের এক অন্ধকার কুঠুরি উন্মুক্ত করে দিয়েছে—যেখানে বাস করে হিংস্র, আদিম, খুনে বানর—যাদের যুদ্ধ, হিংসা এবং নিষ্ঠুরতার ওপরে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছিলো মানবসভ্যতা। নিষ্ঠুরতা মানুষের ইন্ট্রিনসিক প্রপার্টি—এরকম এক মতবাদ আছে অভিব্যক্তিমূলক জীববিজ্ঞানে (এভোলিউশনারী বায়োলজি)। জীববিজ্ঞানে এই অনুমিতি  `খুনে বানরের তত্ব’  (কিলার এপ হাইপোথেসিস) নাম পরিচিত। সেই অনুমিতি অনুযায়ী (এভোলিউশনারি বায়োলজি/কালেক্টিভ সাইকোলজির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা অভিব্যক্তির এটিই একমাত্র তত্ত্ব নয় যদিও, স্বাভাবিক ভাবেই, জ্ঞানের অন্য সব শাখারই মতো, কিলার এপ হাইপোথেসিস নিয়ে  তাত্ত্বিক মতবিরোধ আছে), মানুষের পূর্বপুরুষ অন্যান্য সর্বোচ্চ শ্রেণীর স্তন্যপায়ী প্রাণী (প্রাইমেট) থেকে আলাদা ছিলো এই অর্থে যে প্রাচীন মানবগোষ্ঠীর আগ্রাসী স্বভাব অনেক বেশি ছিলো অন্যান্য প্রাইমেটদের তুলনায়। ব্যক্তিগত (ইন্টারপার্সোনাল) এবং সমষ্টিগত (যুদ্ধ) আগ্রাসন মানবজাতির বিবর্তনের অন্যতম মূল চালিকাশক্তি ছিলো। এবং হিংস্রতা তাই মানবমনের (হিউমান সাইকোলজি) অন্যতম উপাদান, কিলার এপ হাইপোথেসিস এমনটাই বলে থাকে।  প্রখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী এবং নৃবিদ্যাবিশারদ  অধ্যাপক রেমন্ড ডার্ট এই তত্বের প্রচলন করেন পঞ্চাশের দশকে। পরবর্তীকালে ক্লায়োডায়নামিস্ট (জ্ঞানের একটি  নতুন শাখা ক্লায়োডায়নামিক্স—প্রধানতঃ   ইন্টারডিসিপ্লিনারি, যেখানে জীববিদ্যা, অর্থনীতিবিদ্যা, সমাজতত্ত্ব এবং মানবসমাজের সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ইতিহাস একীভূতরূপে বিশ্লেষণ করা হয় বিভিন্ন গাণিতিক মডেলের সাহায্যে) পিটার টার্শিনের গবেষণাতেও এই হাইপোথেসিসের সমর্থন মেলে।   

সেই খুনে বানর ই কি বেরিয়ে এসেছে আজ পুলওয়ামা পরবর্তী ঘটনাবলীর সূত্রে?

সত্যজিৎ রায়ের গোয়েন্দা ফেলুদার এডভেঞ্চার উপন্যাস বাক্স রহস্য মনে পড়ে? উপন্যাসের শেষের পর্বে আমরা দেখি রহস্য রোমাঞ্চ লেখক লালমোহনবাবুর ব্যুমেরাং-এর মারে ঠিকরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান ভিলেন প্রবীরকুমার লাহিড়ী।  জটায়ু কিন্তু নিজে থেকে মারেননি, মেরেছিলেন আত্মরক্ষা করতেই, এবং ফেলুদা আর তোপসেকে বাঁচাতেও। অর্থাৎ ঠাণ্ডা মাথায় মার যাকে বলে, সেটা জটায়ু করেননি এই ঘটনায়—জটায়ুর এই ব্যুমেরাংবাজি প্রতিবর্ত-ক্রিয়াই প্রকৃত প্রস্তাবে।  চির-নিরীহ জটায়ু এই ঘটনার অভিঘাতে স্তব্ধবাক হয়ে যান। পরে একটি মোক্ষম প্রশ্ন করেন :
“সব মানুষের মনের মধ্যেই বোধহয় একটা হিংস্রতা বাস করে।  তাই নয়কি ফেলুবাবু? ব্যুমেরাঙের বাড়িটা মারতে ভদ্রলোক যখন পাক খেয়ে পড়ে গেলেন, তখন ভেতরে একটা উত্তেজনা ফীল করেছিলুম যেটাকে উল্লাস বললেও ভুল হবে না।  আশ্চর্য!”

এই আদিম হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি।  পাঠকের স্মরণে আসতে পারে, ২০০৪ সালে হেতাল পারেখকে খুন  ও ধর্ষণের অভিযোগে ধনঞ্জয় চ্যাটার্জির ফাঁসির (সেই ফাঁসির রায়ের বৈধতা নিয়ে যদিও এখন প্রশ্ন উঠেছে  বহু মহলে, তবে এই প্রতিবেদনে  সে প্রসঙ্গ অবান্তর) পরের দিন বহুল প্রচারিত এক বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে একটি ছবি বেরোয়, যেখানে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে কিছু স্কুলছাত্রী, নবম বা দশম শ্রেণীর হবেন তাঁরা, মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে তুলে অদ্ভুত আক্রোশে হাসছেন ও চিৎকার করছেন ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছে সেই আনন্দে। কিশোরীযূথের সেই নিষ্ঠুর ভয়াল দন্তবিকাশ দেখলে চমকে উঠতে হয়, আরো বেশি ভয় পেতে হয় এটা উপলব্ধি করে যে এঁরা  আমাদের ঘরেরই সন্তান। চোখের বদলে চোখের দাবি করে সারা পৃথিবীকে অন্ধ করে দেওয়ার এই হিংস্রতার শিক্ষা যে আমাদেরই দেওয়া, সেই ভেবে শারীরিক অসুস্থতা বোধ আসে।

এই যে `শত্রু’র রক্ত দেখার দাবি, অধিকাংশ সময়েই কিন্তু তার সাথে মূল ঘটনার কোনো যোগসূত্র থাকে না, অর্থাৎ যাঁরা মুণ্ডু ছিঁড়ে আনতে চান শত্রুর, তাঁদের অধিকাংশই  সেই সংক্রান্ত কোনো গঠনমূলক কাজে কখনো যুক্ত থাকেন না। তাঁরা ধর্ষকের ফাঁসি এবং লিঙ্গ কর্তনের দাবিতে সরব হন, কিন্তু নিজেদের আচরণে, শিক্ষায়, যাপনে এমন কিছুর ছোঁয়া তাঁদের থাকেনা যা সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনতে  পারে, সুতরাং কমিয়ে আনতে পারে নারী হেনস্থার হার, ফলতঃ  নামিয়ে আনতে পারে ধর্ষণের সংখ্যা।  যাঁরা চোর বা পকেটমার ধরা পড়লে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে `শিক্ষা’ দেন অপরাধীকে, তাঁরা কখনো এমন কোনো গঠনমূলক কাজে যুক্ত থাকেন না যা কমিয়ে আনতে  পারে আর্থ-সামাজিক অসাম্য, যাতে করে ধনের অসমবন্টনের অশ্লীল অভিশাপ থেকে মুক্তি  পেতে পারেন  সাধারণ মানুষ।  দরিদ্রের যাতে আর চুরি করার প্রয়োজন না থাকে, এরকম কোনো কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে দেখা যায়না প্রহারকারীদের, ল্য মিজারেবল এর জাঁ ভ্যালজাঁ’র মতো কেউ উঠে আসেন না আমাদের মধ্যে থেকে।  তার বদলে আসতে  যেতে পকেটমারকে কিলটা চড়টা লাগানোতেই আমাদের অপার আনন্দ।


বদলা নেওয়ার এই খেলায়, সুতরাং, সাধারণ মানুষের তরফ থেকে `কনসার্ন’ এর কোনো চিহ্ন থাকে না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, তা জওয়ান মারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই বদলা হোক না কেন কিংবা হেতাল পারেখের ধর্ষণকারীর  বিরুদ্ধে বা নিধুখুড়োর রেডিও চুরি করে ধরা পড়া ছিঁচকে চোরের বিরুদ্ধেই। থাকে আদিম নিষ্ঠুরতা এবং  পাশবিক রক্তলোলুপতা মাত্র। তাই কোনো সদর্থক কাজে অংশগ্রহণ না করে শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমে কিছু পড়ে বা গুজবের মাধ্যমে কিছু জেনে মানুষ মানুষের মুণ্ডু ছিঁড়ে নেওয়ার জিগির তোলে, মৃতদেহ গুনে এপার ওপারের তুল্যমূল্য বিচার করে এক বীভৎস মজায় মাতে। আমরা তাই করি। আমাদের সন্তানরা তা দেখে শেখে, এবং উত্তরকালে তাদের সন্তানদের শেখানোর জন্য তৈরি হয়।


এই নিষ্ঠুরতাকে আরো বাড়িয়ে দেয় বিভিন্ন মাত্রার সামাজিক অসাম্য এবং ন্যায়বিচারের অভাব। জীবনযুদ্ধের বিভিন্ন টানাপোড়েনে মানুষ এমনিতেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে।সে দেখছে অন্যায় করেও পার পেয়ে যাওয়া সম্ভব যদি অন্যায়কারী  থাকে ক্ষমতাবৃত্তের কাছাকাছি। এই নিরাপত্তাহীনতা জন্ম দেয় অন্ধ আক্রোশের। সিস্টেমের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে মানুষ, এবং ছোটোখাটো বিষয়েও আইন হাতে তুলে নেয়—কোথাও পকেটমার ধরা পড়লে যাওয়া আসার পথে তাকে দু’থাপ্পড় দিয়ে আসার মানসিকতা এই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। মব জাস্টিসের নিষ্ঠুরতায় অনেক সময়  এভাবেই আসে। বিচার না পাওয়া যে মানুষ রাষ্ট্র এবং ক্ষমতার সফট টার্গেট, সেই মানুষ নিরন্তর সফ্টার  টার্গেট খুঁজে বেড়ায় নিষ্ঠুরতা মেটানোর জন্য।

আমজনতার এই ইনট্রিনসিক এবং সার্কামস্ট্যান্সিয়াল নিষ্ঠুরতা রাষ্ট্রের হাতে এক বিচিত্র  অস্ত্র তুলে দিয়েছে।  রাষ্ট্র জাতীয়তাবাদের ধারণাটিকে সুচতুর কৌশলে বিকৃত করে ব্যবহার করছে মানুষের নিষ্ঠুরতায় ইন্ধন জোগাতে—ক্ষমতার স্বার্থে, রাষ্ট্রের নিজস্ব স্বার্থে। জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে এই নিষ্ঠুরতার ফায়দা তোলে রাষ্ট্র ও বাজারিরা। যুদ্ধ না হলে অস্ত্র বিক্রি হবে না। ভাত মারা যাবে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের, কারণ তারা সীমান্তের এপারেও অস্ত্র বেচে, ও পারেও। যুদ্ধ না হলে, অন্ততঃ যুদ্ধের জিগির না তুললে, ভোট পাওয়া শক্ত, কারণ দু দেশেই উন্নয়ন শিকেয় উঠেছে  বহুকাল হলো, সাধারণ মানুষ খেতে পায়না, সীমান্তের এপারেও এবং ওপারেও।  মৃত, বিশেষতঃ যুদ্ধে মৃত মানুষের থেকে বড়ো `ক্যাপিটাল’ আর কি আছে?

ভোটযুদ্ধে মানুষের মৃতদেহ অসীম মূল্যবান ক্যাপিটাল।  তা সে আমলাশোলেরই হোক, কি দান্তেওয়াড়ার কিংবা পুলওয়ামার।  শুরু হয়ে গেছে সাধারণ নির্বাচন। মৃতদেহ ভাঙিয়ে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার সুযোগ যে একদমই ছেড়ে দেবে না রাষ্ট্র সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই কোনো। রাষ্ট্র এবং ক্ষমতা নিজের স্বার্থেই অবশ্যম্ভাবী ভাবে এদিকে নজর দেবে – খুঁচিয়ে তোলা হবে পুলওয়ামা ইস্যু, খুঁচিয়ে তোলা হবে মানুষের অন্তর্নিহিত খুনে বানরকে।

ছদ্ম জাতীয়তাবাদের দোহাই দিয়ে ক্ষমতালোভী রাষ্ট্রের  এই নোংরা খেলাকে প্রতিহত করার দায় কিন্তু আমাদেরই। ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নাগরিকদের কথা ভেবেই।

যে নিষ্ঠুরতা, পাশবিকতা, এগ্রেসন মানুষ রক্তে বহন করছে জিনগত ভাবে, তার থেকে বেরিয়ে আসার নামই মনুষ্যত্বে উত্তরণ। আমরা যদি তা না পেরে থাকি নিজেদের বেলায়, অন্ততঃ এটুকু দেখা উচিত আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন তা পারে। আমরা যেন তাদের নিঃশ্বাসে আমাদের রক্তের বিষ ঢুকিয়ে না দি।



[লেখক – কবি, ভারত সরকারের পরমাণু শক্তি (ডিপার্টমেন্ট অফ এটমিক এনার্জি বিভাগে গবেষণারত মহাকাশবিজ্ঞানের অধ্যাপক।]

Facebook Comments

Leave a Reply