স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত-এর কবিতা

গাছের ভিতর থেকে



তবু মনে রেখেছে সে— তার ঘরখানি,

ছায়া যার উঠোনের থেকেও দূর, অন্য কোনোখানে

বিছিয়ে রেখেছে সান্ধ্যময় বিছানাখানি তার, তাকে সে ঘর দেখাও,

সেই প্রাণপাখি, আহা জল পড়ে

জলের বিসর্জন তাহাদের ঘর থেকে ঘরে, তারও থেকে দূরে নিয়ে যাও

সেখানে রয়েছে তবু গোধূলি রঙের বিকেলবেলার ছবি,

তার দিক থেকে সেই অবসর, সেই স্কুলবেলা, অন্ধকার বকুলগাছের গন্ধে ভরে আছে

গাছের ভিতর থেকে ঝুপ করে নেমে আসে ভিতরের অন্ধকারটুকু,

ভিতরের বোঝাপড়া আর একবার স্মরণীয় হয়

আকাশ কতদূর আকাশ, বাতাসের আমন্ত্রণে জেগে আছে

খোলা পড়ে আছে তার যাবতীয় গূঢ় অহংকার

দেখা যায়, একটি দূরের মাঠ আরও দূর হতে হতে শূন্যতায় ভরে আছে যেন …



যুবকেরা মূলত মৌখিক



প্রত্যাশা, শ্রাবণের অন্যনাম

শ্রাবণ কারো চোখের ভিতর থেকে আসে

যুবকেরা মূলত মৌখিক, কোলাহল মূলত সেই খোলামেলা যুবকের হাসি

ঘর থেকে ঘরে, পাড়াজুড়ে, গা-গতর খোলা পড়ে থাকে

প্রত্যাশাকে বর্ষাকালীন করে তোলা এখানে নিয়ম

বর্ষাটিকে শ্রাবণের কল্পনায় অংশত ধরে রাখা যাবে

যুবকের দলবল

শ্রাবণের কথা ভেবে,

উঠোনের মাঝখানে শুয়ে পড়ে তারা

আল্লা মেঘ দেয়। পানি দেয়।     

Facebook Comments

Leave a Reply