ইন্দ্রনীল ঘোষ-এর কবিতা
নিরুদ্দেশের জন্য বিজ্ঞপ্তি
অসুখের ছায়াগুলো গাছের বিভ্রম হতো
সে গ্রামে অসুখ হতো খুব –
নীল একটু দুলিয়ে দিলেই হাসপাতাল…
তারপর সারি সারি রোগিদের ব্যক্তিগত ছুটি
একা একা পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায়
একা একা টিফিন-কোটো খোলে
সব বন্ধু হতে হতেই কখন যে বিকেল হয়ে যায় –
যেন টিফিন খুললেই বেরিয়ে আসবে দক্ষিনের ঘর
যে ঘরে আমার পুরোনো জিন্স
পুরোনোকে তাপ দিচ্ছে তার মা
আর মা টপকাতে টপকাতে আমরা ক্লান্ত হয়ে উঠছি
আমরা ক্লান্ত হয়ে উঠে পড়ছি একটা বিকেলে
অনেক উঁচুর অসুখ চিৎকার করছে তার ছায়া
সে চিৎকারে কোনও শব্দ নেই
শুধু গাছ
আমাদের মাইল মাইল বেঁচে থাকার ওপর
শুধু পাখি বসে আছে
কাঁদতে গেলেও পালক হয়
জল খেতে গেলেও…
আমি নার্সকে বলি, ছুটিগুলো ভেজিয়ে দাও, আমার ঠাণ্ডা লাগছে…
ওগলানো পিয়ানো থেকে বেসুরো কৃষক বাজাচ্ছে যে লোক
তাকে ছিঁড়ে ফ্যালো
ওই তো তার নেভানো রঙের খুন
ওই তো তার হেরে যাওয়া সভ্যতা
নুয়ে পড়া দেশ
হারানোর সময় পরনে কী ছিলো, আমি জানি না…
বাগান
একটা গাছ পুঁতছিলাম…
এ’ সেই বিকেলের কথা
যেখানে মানুষ আসার আগেই তার ছায়া এসেছিল
সাবেকি ধাতুর জীবনে জল ছেটাচ্ছিলেন কনফুসিয়াস
সমস্ত মানুষই ধাতু
সমস্ত জীবনই
আমি শব্দ শুনছিলাম
জীবনের ঠোকাঠুকি
যুদ্ধ
ইদানীং সব হারমোনিতেই যুদ্ধ টের পাই
অথচ ভেবেছিলাম লড়াই শব্দটা আমি কবিতায় কোনোদিনও না।
যুদ্ধর বদলে তবে, যুদ্ধ-খুকি কেমন হয়?
একটা ফ্রক আর দুটো বিনুনিকে ভর ক’রে,
যদি মৃত্যু ছাদে আচার আনতে যায়…
বহুতল থেকে পড়ার স্বপ্নে আমার কিন্তু মজাই লাগত
প্রচণ্ড ক্যানভাস কেমন রঙের এক বিন্দু হয়ে যাচ্ছে
দ্রুত
এবং শ্লথ…
স্নায়ুতলে
এত মৃত মানুষের মাঝে,
কোনো গাছ আজও আসেনি —
খামোখাই,
একটা গাছ পুঁতছিলাম…
Posted in: April 2019, Poetry
Govir asukh theke sere otha .. Ato alo Indir er lekhai.. Bimorshota kobitai ful hoe futuk .. Anondo !!