এ কে এম আব্দুল্লাহ-এর কবিতা

ব্যরিকেড ভেঙ্গে নামে যে বীজ

খেতের গলি দিয়ে চলে গেলে সূর্যদানা—জমিনের শরীর ঘষে নেমে আসে সন্ধ্যা। পৃথিবীর তলপেট নড়ে ওঠে। আর আমরা ভুলে যাই কান্নার স্বাদ এবং পবিত্রতা ঘুমিয়ে গেলে মৃত বালিশে। তুমি আমার বুকে মাথা রেখে হও স্বপ্নীল।

এরপর,তোমার নাভির পাশে কান পাতি। শুনি— শিশুর নিরাপদ হাসির ধ্বনি।আমি পুর্বপুরুষের পথে জমা ধুলো সরিয়ে তোমার চোখের দিকে তাকাই। দেখি— পৃথিবীর গলি ঘুঁজি আলোকিত করে আসছে আমাদের সন্তান। আর কমলাপুর রেলস্টেশন ছেয়ে যাচ্ছে কালিজিরা ঘ্রাণ।

এখন প্রতিটি রুপালী রাতে টের পাই— নিজেদের ভেতর জ্বলে ওঠছে নিজস্ব আগুন।

একটি ঘোরগ্রস্থ সময়ের ফটোকপি

আজকাল মধ্যমাসেই পকেট থেকে নেমে যায় পথের গন্তব্য। আর মাছবাজার পানিতে ডুবে যায়। আমাদের কিচিনের ছাদ থেকে টিপ টিপ করে, ঝরে পেরেশানি। আমাদের উনুনে পুড়ে লোক দেখানো সভ্যতার চামড়া। আর আমরা লোডশেডিং এর মতো, হাতে হাত ধরে ধরে সাঁতার কাটি রাতের জলে।

আমরা ডাইনিং টেবিলে ধারহীন নাইফ দিয়ে সার্প করে দিই বাচ্চাদের কাঠপেন্সিল; ভিতর থেকে অঙ্কিত করলে হৃদয়ের স্ক্যাচ; পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে কেউ উল্টো করে ধরে ক্যানভাস। আমাদের মাথায় ভুমিকম্প হয়। আর আমাদের মুখ দিয়ে বের হতে থাকে সময়ের ফটোকপি।

Facebook Comments

Posted in: April 2019, Poetry

Tagged as: , ,

Leave a Reply