সঙ্ঘমিত্রা হালদার-এর কবিতা

পাখি বিষয়ক ইশতেহার

.

সূর্য গোধূলিরেখায়, আর জিজ্ঞাসায় ডুবে মরে প্রশ্ন

বলবার মতো গ্রীবাভঙ্গি রেখে দিগন্তে ওড়ে বক

ভঙ্গিটুকু দেখে হৃদয় এত পাতাল হ’ল, আর উথাল হ’ল সে

যেন বা দেখাটুকুর জন্য আমি সে চিরকালীন শোক

শোক, যে কিনা অপেক্ষা করছে সমস্ত না-দেখা

চিনার গাছের অভূতআড়ালে

আমাকে তালিম দেওয়ার অছিলায় প্রশ্ন থেকে জিজ্ঞাসারা ওড়ে

ওড়ে মাইল মাইল ব্যাপী, আর ভঙ্গিটুকু ফেলে যায়

ছুতো খোঁজে— যেন বা আর একদিন

ভঙ্গিমার ভেতর আমাকে নেবে

তালবাদ্য

আমি কেন পারিনি ওই গানের শ্রাবণ, ভেবে তার মন হল খুব

ওই উচাটনের আর কোনও সা নেই, দিনে দিনে বাড়বে এমন

তেজারতি নেই। তার সম্বল বলতে হাতে থাকল এক।

দানা বলতে বই’য়ে পড়া বাবুদের অলীক বাগান। আর সে শ্রাবণ।

একটু পরে সহিস আসবে জল খাওয়াতে। সহিস, যে কিনা গান

আর শ্রাবণের পথে আটকে আছে।   

উৎসর্গঃ মা’কে

মায়ের দাহ সমাপ্ত করে এসে দেখি

মা অমনোযোগী, ব্যাগ গোছাচ্ছে

চিরন্তন বিনোদিনী কুঠি থেকে—

রোগ প্রতিপন্ন থেকে—দূরে

মাতৃসুলভ কোনও পুরুষের দিকে

রেফারি

অনু কেন এত বিপজ্জনক বইছে চামড়ার নিচে

আমরা তো রেফারি রেফারি খেলেই কাটিয়ে দিতে পারতাম

ভোঁতা ইন্দ্রিয়ের তারে কাক হয়ে বসে থেকে

তীর্থের বাবা-মা এলে বলতাম চোখ হারিয়ে গিয়েছে

অনু কেন এত বইছে চামড়ার বিপজ্জনক নিচে

এই যে ছাপিয়ে যে যাবে বলছ

আমরা তো সতর্কপ্রবণ

রঙ্গমঞ্চ আমাদের শুষে খায় আলো

আমরা তো ভোগ সামগ্রীর ছুতো

আমাদের ভরা জোয়ার সামলে নেন স্বয়ং উপমা কত ভালো

Facebook Comments

1 thought on “সঙ্ঘমিত্রা হালদার-এর কবিতা Leave a comment

  1. উফ কী অপূর্ব লিখেছ সঙ্ঘমিত্রাদি। অবাকস্পৃষ্ট হলেম।

Leave a Reply