রাজর্ষি মজুমদার-এর কবিতা

নামের গানগুলি


.

অভাব এক মামুলি প্রাচুর্য হতে বসেছে এইখানে, তুমি আঙুল থেকে নিয়ে চলেছ মালাবার মশলার ঘ্রাণ। নিবৃত্তির সাথে অবশিষ্টের যে সম্পর্ক, সেই জল বেয়ে বেয়ে আমরা আলেপ্পি চলে যাব। সেখানে মানুষকে তোমার দৃশ্যত সবুজ মনে হতে পারে। নতুন ছাতার প্রয়োজনে বৃষ্টিকে মনে হবে বেলাশেষ।

ছাতাটিকে বৃষ্টি থেকে সরিয়ে আনা অজুহাত হয়ে উঠছে – আমরা সময় থেকে সরে আসছি আসলে। এরপর প্রতিটি বিচ্ছেদের প্রয়োজনে চলে আসবে মালিকানা ও স্মৃতির স্থায়িত্ব বিষয়ক নানা কথা।

.

পাহাড় একটি করুণ উপত্যকা হয়ে এসেছে, বাস পেরিয়ে গেলে সন্ধ্যেও নেমে আসে। জানালার থেকে আমরা বুঝি – নীচু হওয়া মেঘ, দৃষ্টিসুখ দেয়।

শুধু কি সেইজন্য দক্ষিণে এলাম? নাকি কোথাও মনে হয়েছিল এই সুদূরপ্রসারী,এই মিস্টিক কফিক্ষেত সাফল করে দেবে অনুভূতিগুলো। ঢাল বেয়ে বেয়ে পাতার মত কৌতূহল হবে আমাদের। যেই সুরগুলো চেনা হয়নি – তাদের জন্য আলোর সুইচ অফ করা মনে হবে যুক্তিসংগত।

আমরা দুদিন হোটেলে থেকে নান্দনিক হতে চেয়েছি। চেয়েছি আমাদের পেরিয়ে যাক মালয়ালী শব্দের সারি …

 .

মানুষের সঙ্গে সঙ্গে গান আনন্দ হয়ে উঠছে। মদ সম্বন্ধে সংশয় জমতে শুরু করেছে মনে – দেখছি, ক্রমেই তুমি শব্দগুলি ধীরে উচ্চারণ করছ। পুরোনো হোটেলরুম, সীসে ওঠা আয়নার থেকে গন্ধ আসছে ম্যহফিলের।

মুন্নারে একমাত্র ছায়া ও প্রেম স্থায়ী হয়। প্রয়োজন মত দোলনাও স্থায়ী হতে পারে। এখানে রাত অর্থে- আরোও একটি সানগ্লাস হারানোর ঝুঁকি।

ইরম,ভরসা করতে শেখ। এলাচ ও সিসালের মিহি গন্ধ ছড়ানো পথজুড়ে অ্যালার্ম বেজে উঠুক – অ্যালার্ম বেজে উঠুক বালিশটিতে – তোমার কণীনিকায়।

.

কল্কে বা গ্লাস এগুলি দৃশ্যত শূন্য মনে হলেও তার নেশার আভাসটুকু উপেক্ষা করা কঠিন। দুপুরের পথ সত্যিই নির্জন – একটি পোকার চলে যাওয়া যেন। ইদ্দুক্কি এখন ঘাসবন। মেঘ চুঁইয়ে পড়ছে লেকটিতে। প্রেম ও আকাঙ্খা নিয়ে আমরা গাঁজার পাতার কাছে আসি।

“একটি নারীর থেকে মাথার খুলি বরং বেশী আকর্ষণীয় মানুষের কাছে।”  

প্রিয় সিনেমার এই কথায় আমি নিজেকে বিচার করেছিলাম – আরও বিস্তারে গিয়ে খুঁজে দেখতে চাইছিলাম অবশিষ্ট মানুষটিকে।

Facebook Comments

Leave a Reply