অনিন্দ্য রায়-এর কবিতা
গল্প হলেও সত্যি
২১.
শ্যাওলার সংরক্ষিত আসন। চিঠি পিছলে কলেজে পড়ছে। আমি ভাবলাম, বাংলা। অথচ হাত ফস্কে গড়িয়ে যাবে কাগজে মোড়া নৈশব্দ। হাড়ই ঠিক ধরতে পারে নি, চুল্লী চিনবে কীভাবে? কাঠকয়লা পড়াতেন যিনি তাঁরও ইশ থেকে সাড়া মিলছে না। চুয়াল্লিশ চিনবে কীভাবে? এত বড়ো বোর্ডে চারখানা গোল্লা নিয়ে ঝামেলায় পড়েছ। শ্যাওলাও হাত সরিয়ে নিচ্ছে। সে শ্যামল মিত্র হতে চেয়েছিল। আমি ভাবলাম, বাংলাই। গনগনে। অথচ রটেছে যে, সেলাই করে ফেলেছিলে জন্মদিন। মোমবাতির সুতো কিনতে বন্ধক রেখেছিলাম তিনশ’ চৌষট্টি কলা। এত সহজে কি বিশ্বাস করি? টুপিটির অনিচ্ছা আর অনিচ্ছাটির টুপি থেকে মাথা দূরে এনে রাখলাম। বসতে গিয়ে দেখি যে গোল্লাদের বাতাস কমছে। কলেজের শেষে ঐ চুপসে আসা নামের বোতল পড়ে থাকে। তাদের লাটিম চিনবে কীভাবে?
২২.
হাঁস, প্রিয় চরিত্রটি। জলের মধ্যে গোয়েন্দা লাগাই। কারনামা ডুবতে দেখে মনখারাপ হল। কে ডিম কুড়িয়ে আনে সফলতা নিষ্ফলতা থেকে? তবে কি মাংসের জন্য ছুরি আরো সুন্দর সেজেছে? তাকে খুঁজতে বাতাসেও বিদ্যুৎ মাখানো, হাত রাখলে মৃগী সেরে যায়। গল্পও মিলে যায় শেষ চ্যাপ্টারে। এই তো দস্তানা আর এই আঙুলের দাগ। নোটবুকে পালকটি ভেজা রয়েছে এখনো। রুটির বসতবাড়ি অ্যাডোলেশানের আগে ঢুকতে দেয় না। ততদিন বাইরে থেকে কুড়িয়ে আনতে হয় খিদের চাকতিগুলো। তবে কি মাংসের জন্য সম্পর্ক ভালো রাখছে? বাতাসেও মশলা মেশানো। হাঁ সেরে যায়, জিভ গুটিয়ে খেলা ছেড়ে দ্যায়। মুদ্রার পিঠ দুটো একসাথে পড়তে পেলে যে গল্প হয় তার চরিত্র বর্তুল। থামানো যায় না
স্পার্ক অ্যাভেনিউ
২৬.
পেয়ালা, নিজেই পিপাসা, সুযোগে তোমার কাছে
ব্যবহার করি… প্ররোচনা, জিহ্বায় সুখের কোরকগুলি
চালু হয়, তবু আরো গভীরতা চাই, তোমার স্বাস্থ্যের
জন্য প্রাণের বিনোদ চাই আরো
২৭.
পিঙ্ক, পাপের পয়োধি, শুধু জল দিয়ে বোঝানো যাবে না
কল্পনা গড়িয়ে এল, অনন্তের মসৃণতায় ঠেলে
দিয়েছে কেউ; আত্মায়, অপব্যবহারে, লোভে
গুলে যেতে দেখি, ফোঁটা ফোঁটা পড়ছে কামনা
প্রথম কদমটিতে ফুল ফুটে লজ্জা পেয়েছে
Posted in: Cover Story, March 2019