রঞ্জন মৈত্র-এর কবিতা
খণ্ড্হর
১.
মণিকে দেখছে আকাশ। ওই নিঃশব্দ থেকে নাম সর্বনাম। নামগুলো
চোখকে দেখছে। রং কারখানার দিকে অপলক দেয়াল, মাঠগুলো
দেয়ালের দিকে। দু’একটি ইটের বিলাপ ছাড়া আর ঘূর্ণি,
ভুমিকম্প, মাত্র চুন বালি।
মণি দেখছে নীল রঙ শূন্যকে। মাত্র পায়ের ছায়া মাঝে মাঝে,
মাত্র দু’এক কুচি সর্বনাম বাঁচানো। চাকায় চাকায় মোছা পীড়িত
এলাকা, মণি মোছা। ঢেউ তুলে ছুটে আসছে ধাতু, ধুলো তুলে
পোড়া পলিমাটি। মাঠের অপলকগুলো নাম নেই, গাঢ় ও
সামান্য ভেজা ভেজা।
বিস্মৃতি-২
হাওয়ায় লেখা
গাছগোছের জন্য যে আলো ফোটে
তরু যে খরাতোড়
মরু মরুৎ-এর জবানী
মনে পড়াকে মনে করো
মনে ধরো
লেখার জীবন নার্সিং হোম পার হয়ে
বলা অবলায় পৌঁছে
মোজা খুলে ফেলা গেল
তখন রোদ ঢুকছে
অক্ষর থেকে জ্যাকেট থেকে
তার পথগুলি
তার মৃদু বুটিং
ওহো তুমি ল্যান পেলে
বনেটে অশ্রুফোঁটা
মানে নেই, কোন মানে নেই
ভিন্নমুখ-২
আকাশ যেসব ভর্ত্তি করে দেয়
আকাশ ভরে
ভোরে কি ছড়ানো
ভোরে কি মোরগ
আমার উচ্চারণ থেকে আকাশ প’ড়ে যায়
ও বাড়ি বাসা থাকে
আর স্কুলবাস
আর ক্যাম্বিসের ক্যাচ
ঘাসে টমেটো সস
ঘাসে হলদি গুঁড়ো কালিমির্চ
ওয়াকে ওয়াকে এসে গানঘর
ওভেনের কুকারের
সামান্য নরম ভাজা শুকতারাটির
আড়ালের রক্ত
ছুপকে শোণিত
তুমি চেয়ে আছ
তুমি যে চেয়ে আছ
কণা ওড়ার দিন
উড়ল মুনিয়ারা ছাই-এর পিছনে
এক এক কণার জন্য পিঞ্জ্রা ও পাখির
ছোট ঝড়। আল্বসানো হাওয়ায় পেকে ওঠে
যে বাচ্চা আর নিড়েনদিনের যেসব পা
ফিরতে ফিরতে অন্ধকার হয়ে যায়
ঝড়ঝড়ের মধ্যে তারা মুনিয়ার বাসাও মেনেছিল
উড়ল মুনিয়ারা পলকহীন দিকে
কণাজোড়ার আবার দিনগুলো শান্ত ও
নীল খুবই। থামা নৌকোয় উনুন ঘেঁসে
মিশে যাচ্ছে আদা ও পেঁয়াজ। পুরো সবুজ
একটা ফাঁকায় ফুটে ওঠা চেহারা। হাত ধরা
যায় না তবু আলো ডাকে পাখির গলায়,
চুল ঢেকে যায় না ছাই-এ
Related posts:
Posted in: Cover Story, March 2019