অমিতাভ প্রহরাজ-এর কবিতা
কাব্যগদ্দার ও ভোরের কামিনা
ধরা যাক জলের ডলি হলো জলবসন্ত
আমার টগর হলো আমার বুজুম
হেঁটে যাওয়া জানে ড্রাইভার
তবুও বাসটি গড়ায়
আকণ্ঠ রুট খেয়ে শ্রীমান টাল্লি
টগরের সাথে অতিঘনিষ্ঠ টগরের ঘাম…
…দেখে জানালা জ্বলে যায়
কাঁচা শালিখভাজা, রোদের রুটি, বাহিরভর্তা, গাছের কিমা
মাথার ভেতর দাঁতের রোলে উঠক-বৈঠক
স্মৃতির ইঁটেরা দিচ্ছেন।।
চেবায় যেন চেবায় আমায়, চেবায় যেন চেবায়
এ কাজ চির বিপ্লবী দিয়ে শুরু, এটি নিশ্চিত মুভমেন্ট…
…তাই ফের ধরা যাক জলের মহীতোষ আর কেউ নেই, জলে কল্যাণী বলে কেউ নেই
শুধু চূড়ান্ত জলটিতে তোমার মৌরী জোয়ান পোষা, ছড়ানো এলাচের গুঁড়ো, কস্তূরী কুচিকুচি
ও এক গলে যাওয়া গন্ধর্ব তোমার শরীরে, শিশির ঘুরছে
তার চরিত্রে কার আর্দ্র…
তাঁর আনন্দে মৃদু অম্বল…
ঝিমবাসে কত দুপুরবাসা চলছে
আর কে উলটে দিল আমাদের বানজারা, যখন
প্যাসেঞ্জার না ম্যাসাঞ্জোর কোথায় যেন দেখে নিলাম…
প্রপাতের পাশে জলের তুমি জলের আমি
ওহে এনিওয়ান।।
এরকম হোমিওপ্যাথিক দিনে
আকণ্ঠ রেনকোট খেয়ে
একটি বয়স আমার কাছে আসে
একা একা, অর্ধেক ভদ্রতা নিয়ে
বাকি অর্ধেক নাকি অপর তরুণীরা
চেয়েছে স্নানের জন্য
তাদের কপালে নাকি ব্যাকুল খোলা ছিল
মনোমালিন্য ভোরে ধর্ষন করছে…
তাঁর নাক্সভুমিকায় ঘরের কথা থাকবে?
সে কি পতাকার মতো কাঁদবে?
শোনো এনিওয়ান
টগর তোমার তবিয়তে জায়গাফুল জায়গাফল থাক
আমরা তো আর আভাস নই যথেষ্ট দেওয়ার মতো, এই সন্ধ্যায়
যখন অমর পাঁঠার মতো দাঁড়িয়ে আছে গঙ্গা…
ভুলতমা
এই যে সময় যখন অঘোরে দুপুর হচ্ছে
এখন ত্রুটিটিকে দেখে খুব মায়া হয়
ত্রুটিটির কেউ নেই, বাবা-মাগন্ধী ছোঁয়া খুব দূরে থাকে
তাঁর কাছে আসেনা কোন হরিণ বা ধূপবিক্রেতা
দয়ালু মনভুলুন্তি ছাড়া তার কোন বধূ নেই
অবোধ ব্যবহার নেই তার প্রতি
দিন নেই, রাত নেই, ছোটবেলা থেকে
শুধু মেরামত-মগ্ন হয়ে থাকা,
আর ভয়, কখন হিংস্র সিংহের মতো শুধরোনো লাফিয়ে পড়বে ঘাড়ে
আর তাঁর মাংস খেয়ে বড় হবে সঠিক সকাল
আমার স্বভাবে যে দুঃখী ত্রুটিটি আছে বড় মনমরা
একলায় তাকে আমি ত্রুটিদি বলে থাকি
বাল্যবিধবা তার রূপ একটু ব্রাউন ব্রাউন
আমার স্বভাব ছাড়া তার কোন আশিয়ানা নেই
ত্রুটিদির দিওয়ানা ছিল সেই আমারই কবেকার করা ভুল
আজও ভাবি তাকে ফের সামান্য করি
চুলের আঘাতে মোড়া রুগ্ন ত্রুটিটিকে ডাকি বারান্দায়
আর তার প্রতি ছুটে আসা মায়াবী লাথিদের হাত ধরে রাস্তা পার হই
তারই দেওয়া জেব্রায় চড়ে আলতো মিলিয়ে যাই ত্রুটিদির গ্রামের বাড়িতে…
নিধুবাবু
এই আমি নিধুবাবু, আর উনি আমার মমময়ী। লোকে টপ্পা ও টপ্পিনী বলে ডাকে দুজনকে। অবশ্য লোকই বা কই? পৃথিবীতে এখন তো নিধুবাবু, মমময়ী, নিধুবাবুর জ্বর আর নিধুবাবুর ছুটি ছাড়া কিছু নেই…… পাগলী বড়ো এতোল বেতোল করে আমায়…… কি যে হয়েছে জ্বালা কি বোঝাই? এমন করে কেউ গাঙ হয়ে আমায় জড়িয়ে থাকে? আমি এক স্বয়ংসম্পূর্ন ভেবে নিজের বুক ফুলিয়ে থাকতাম… এভাবে কেউ তছনছ করে যায়? এ তো চরম ডাকাতি?
মমময়ী, শোনো। তুমি তো স্বয়ংসিদ্ধা। মানে উনুন বা প্রেসারকুকার কিছুই লাগে না। এ বেচারা যে দু মুঠো চাল ফোটাতেও অক্ষম। দেখো না, টাকা আছে তবু না খেয়ে রয়েছে নিধুবাবু। গেলাস গড়িয়ে যাচ্ছে খাঁখাঁ একটা ঘরে……
কিভাবে বলেছো কিছু নেই- দোকা
“কালকে বিপদ নেই” এই ভেবে শুতে যায় মানুষেরা যেদিন, সেদিন সেসময় টিকে সুখের সময় বলা হয়। কেউ নেই তবু দুচারিটি দুগ্গা পড়ে থাকে পকেটে যখন সকালে বেরোও, তোমার চেটোর নীচে রাস্তাওয়ালা গ্রহটি বাঁইবাঁই করে ঘুরছে টের পাও… তারপর আনন্দলোকে ভর্ত্তি ট্রেণ আসে তাকে ছেড়ে দাও
আসে মঙ্গলালোকে ভর্ত্তি বাস, তাকেও ছেড়ে দাও… ফুটপাথকে পিষতে হবে পায়ের তলায়, আহা, আহা, দাঁতচাপা সুখ আসে মগজবাড়িতে যখন লক্ষ লক্ষ সত্যসুন্দরের মতো হাঁটো… এই-এখ্খুনি প্রয়াত গন্তব্যের নাম দাও “গুড়ুম”…
তাহলে অফিস নয় এইরূপ গুড়ুমে পৌঁছোতে হবে তুমি। বাক্য বিগড়ে যাচ্ছে দেখে চোখে দন্ত্য দাও… কামড়ানোতা বিক্রী করছে টুলডোবা, মানে সমস্ত পোষাকে ডোবানো আছে টুল, তার ওপর রাখা আছে বিক্রেতা, তার সামনে রাখা আছে তার বাক্য চেয়ারম্যান, “আসুন, দেখুন, নিয়ে যান”…… “এখানে ফড়িঙের কোট, যাকে বলে টোক বা টুকু, পাওয়া যাবে??”
“তুমি মানুষ না ব্যাকরণ, মাইরি? এভাবে একজন পুরোটা লোক কথা বলে?”
এঃ, এবাবা ছি ছি, বেশরম ঢিলে হয়ে গেছে, অবলম, অবলম, অবলম। এই অবলম বা অবলম্ব একটি পাঁচু খাওয়া অসমাপ্ত শব্দ যা বড্ড মনে পড়ে যখনই অকারন ঘটে। হঠাৎ প্রকান্ড ভালো লাগে, না খারাপ, সেটা ব্যাপার নয় উফ্ফ্ফ চারিদিক মগজ, মগজ, মগজঙ্ঘা, মগজোনি, মগজবিত্ত, মগর্জন…
আমি তরিবতে মাতোয়ারা হই, গগনে বিকলাঙ্গ মেঘের সিটে তুমি বসে আছো দেখে আস্থা পাই, আমিও আমার কুটুম্ব হয়ে সদ্যপ্রয়াত গন্তব্য যাকে গুড়ুম বলেছি তার কাছে প্রত্যাশা হয়ে আসি, যেমন মরমীবালার কাছে মুগ্ধ হয়ে আসি, আমরা দুজনে সমুদ্রে গামবুট খুলে ফেলতে পারি…
চোখে চোখে কত পোকা পায়, যখন হলুদ আলোর নীচে দুজনেই তাকানো ধরিয়েছি…
নাকি
এখানে দ্রবণ শেষ, গোমড়া শেষ, সরণী শেষ, কারন তাকে নাকি দেখা গেছে, যে কিনা কখনোই অবশেষের মতো দেখতে নয়। যে কিনা সাজিয়ে দিলে ওপরদিক অপরদিকের মতো সুন্দর হয়ে ওঠে নিজেরই হাতে। যে কিনা নম্রহৃদয়ে দেয়ালা করে যায় অথচ টের পায়না কখনো আমার ভেতরে মা হয়ে যায়। যে কিনা বিদ্যুৎ ও কুকুর ও নিমগাছ, তিনজনের মধ্যেই মুগ্ধের টের আনতে পারে। যে কিনা রোজ সকালে সুর্যমুখী ফুল খায় এবং তার ফলে শশধর নামক একজন একমাত্র বস্তু, সেও রোজ তার প্রদক্ষিণ খায়। যে কিনা তন্দ্রা রাঁধতে পারে সামান্য কালোজিরে দিয়ে। এখানে তোমরা শেষ, আমাদের গড়ানো শেষ, গঠন শেষ, স্রোতের শেষ, কারন একটা মুহূর্তে বসানো ছিল তাকে, তবু দেখা গেছে, যে কিনা সকল পোকাদের ভ্রমরায়ন সেরে ফেলেছে দু তিনটি অপাঙ্গ দিয়ে… এসব বিলেত আমার কাছে, এখানে সরণী শেষ মানে জানি এখানে দরোজা শুরু হবেন, তোলপাড় বেড়ে গেলে পায়ের নখের মতো লাগে যাকে দুহাতে জড়িয়ে আমি টেনে আনি দাঁতের আদালতে, বেড়ে ওঠা কোনায় ডুবে যায় সফেদ আদালত… এছাড়া, ওহে যে কিনা, তুমি কি তোমার নিজস্ব সন্দেহ? যেমন আমার নিজস্ব সন্দেহ সকল পুনরায়দের নুতন করতে পারে… এখানে দ্রবণ, গোমড়া, সরণী ফের শেষ… কারন সে কিনা, মানে আমার স্নেহের সন্দেহ কিনা এখানে গর্ভবতী হচ্ছে, পেটে তার সাদর গরম গালিচার ভ্রূণ
Posted in: Cover Story, March 2019