অমিতাভ মৈত্র-এর কবিতা

নির্ভরতা

রাত্রির বিরুদ্ধে আবার

জেগে ওঠে সাদা একটা প্যারামবুলেটার

আর সমান্তরাল দুটো

ছায়া

রাগে অপমানে নিচু গলায়

অভিশাপ দিতে দিতে

তোমার দুটো পা হয়ে যায়

অপরসায়ন আর আমি

দ্বাদশ শতাব্দীতেই সাহসী

হয়ে উঠেছিলাম আমি

আর কাঁধ ঝাঁকিয়ে

বলেছিলাম

অপরসায়ণের সাথে

আমার সম্পর্ক

একই গুহার দুটো

ভালুকের মতো

অজুহাত ছাড়াই যারা পাপ

করে নিজেদের নিয়ে

আর একটা হুইস্ট খেলার

টেবিল রোজ রাতে সেই

পাপ

মুখ কালো করে নিয়ে যায়

ছবি অথবা চিঠি

জন্মের মুহূর্তেই অনন্ত

কোনো ছবির এক কোণে

অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও তুমি

আর একজন অন্ধকে

পাথর ছুঁড়ে হত্যা করে

তুমি সম্পূর্ণ করো

সেই ছবি আর নিজেকে

যাতে মৃত্যুর আগে

অর্ধদেবতার মত কেউ

তেলের বাতি ঘেঁষে

একদিন

       নিঃসাড় একটা

চিঠি দিয়ে যায় তোমাকে

অস্তিত্ব

ঠান্ডা বালির বুকে কান পেতে

আলতো চাপড়ে যদি ঘুম পাড়িয়ে দিতে চাও

এই ক্লান্ত নিষ্ঠুর আর ভাবলেশহীন মরুভূমিকে—

দেখবে সে কাঁপছে, নড়ে যাচ্ছে, ভেঙে পড়ছে আস্তে আস্তে

একা মরুভূমি লুকিয়ে তার অর্থহীন অস্তিত্বের জন্য

যদি শান্ত করতে চাও, ওকে বলো যে ওর সীমাহীনের ওপর

যখন পিঁপড়ের পায়ে হেঁটে যাও তুমি

তোমার ভেতর থেকেও তখন একই কান্না উঠে আসে

বালিকণার মতো ছোট আর করুণ তোমার অস্তিত্বের জন্য

Facebook Comments

Posted in: March 2019, Poetry

Tagged as: , ,

Leave a Reply