টিপু সুলতান-এর কবিতা
কঙ্কালমালিনীর শেষকথা
হাঁটছি ছায়ার সঙ্গে কথা বলতে বলতে
হাতের ডান পাশ করাত কাটা গাছের মুখোমুখি
বা-পাশে সমুদ্রের দৈর্ঘ্য জল
দ্রোপদি কুজবক দুরন্ত আকাশের পথ আঁকে
দিগন্তের ছয়টি গল্প সূর্যের আলোয় মেঘ কাটে-
এক টুকরো স্বপ্নালু-নিশাচর পরিযায়ীর মত;
পৃথিবীর এভিনিউ থেকে কঙ্কালমালিনীর শেষকথা
উঠে আসে রোজ,আঙুলের আংটি হারিয়ে গেছে
হাত খালি চুড়ি ভাঙা তাঁর
সেদিন ব্যাগভর্তি সহৃদয় কান্না করেছিল।
পেপারওয়েট চাপা সমাজ
আজ যেন চিলেকোঠার দুরারোগ্য ক্যাকটাস।
সে পালিয়ে বেড়ায়
গত সন্ধেয় তাকে দেখলাম ঢাকার কাঁটাবন
এক মাদকী লোকের সঙ্গী-রিকশায় চড়ছে
তাকিয়ে দেখা ছাড়া বেদনার আছে কী? যুগলবন্ধ;
তাঁর চোখদুটো নিয়নবাতির ঝোপ ঠেলছে
ভিড় থেকে দ্রুতবেগ অদূরে নীলক্ষেত
অধরা মাদকে তরুণী হাসছে-অগোজ গল্পে।
তাঁর কালো চুল দুলছে,উড়ছে বসন্ত বাতাস
গালে আবির মাখা রঙ হাতে ফুলের মালা
মুক্ত ফুরফুরে সরলা মন বেহুদা ওড়ায়
হলুদ শাড়ির জমিন ছুঁয়ে অসম খাতিরে-
আমার কেবল দুচোখ খুনরঙা শিমুলের ক্যানভাস!
রাতচোরা জ্যোৎস্নার শাদা মোম
চোখ ভরা দ্বিতল চিলেকোঠায় উস্কানো শহর।
কাঁচা পাতার হাততালি ওড়ে
কুহক পাখির ডানায় গত বসন্তের ফাল্গুনী বৃষ্টি
অগোজ মাদকরসে ভেজায় নাগরিক বুক;
অসংখ্য প্রমুখ নামধর আমাদের আত্মীয়,
বিরাট উর্বরে শেকড় লটকানো ঘাস,
পায়চারি পাতা দোলানো গাছ
দ্বিবীজ সোনালিধানের লাইব্রেরী,
বখতিয়ার ঘোড়া ফেরা ক্ষুরের স্রোত
উভচর শেয়ালকাঁটার দেহ মাড়িয়ে
রাতচোরা জ্যোৎস্নার শাদা মোম জ্বলে দিগন্তগামী-
Related posts:
Posted in: February 2019, Poetry