সুব্রত সরকার-এর কবিতা
নৈঋতে মেঘ, তারপরে ঠাকুর-ঝি পুকুর, মন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়
হাওয়ায়, বহ্নুতাপে, ছিঃ!
এ তুমি কি করলে? সনাতন হিন্দুধর্মের মধ্যে কুয়ো দেখা যায়, পাপে
থিক থিক করছে অধর, নীলকন্ঠ-মালা তুমিই হলে
তস্কর, পরশ্রীকাতরতায় তোমার চক্ষুদুটি ক্রমে দীর্ঘ ও আয়ত হয়ে উঠেছে
সোনা? আমি চন্দ্রমল্লিকার
স্বপ্ন পেয়ে লিখি, মনসা-ভাসান, কৃষ্ণ-সংকীর্তনের সুর যতদূর ভেসে যায়
ততদূরে আমার কামনার মাটির মূর্তি রয়েছে, হরি
রিকসা চালায়, শ্যাম বিড়ি বাঁছে, যাদব ভোরে পুলের নিচে বসে রুক্ষ
মাছ বিকোয়, আনোয়ারের আনাজের মধ্যে শ্রী ভগবান
মৃদু মৃদু হাসেন, দাঁড়িপাল্লার একদিকে কবিতা-রত্ন অন্যদিকে সে
হাসি একটু একটু করে বিক্রি হয় সারাদিন, এতই
সামান্য সে কবিতা বেলা পড়ে এলে শুকিয়ে যায়, তবু তাকে ঘিরে
কত সেমিনার, কূট-আলোচনা, আমি শুধু তার
কৃপার কাছে, ভালোবাসার কাছে, চিরজীবনের আকাঙ্খার ভিতর
কত রঙ করেছি, প্লেটে করে খাবার দিয়েছি, রাত্রে
মদ, বেদনার আঙুর, তুমি এবার
শান্ত হও, একটু ঘুমাবার চেষ্টা করো, মাথা টিপে
দিচ্ছি, দেখো ভালো লাগবে।
Related posts:
Posted in: February 2019, Poetry