সৌমনা দাশগুপ্ত-এর কবিতা

মেঘলাকলোনি

জীবনে পেনসিল, আমি স্কেচের আঙুল
থেকে ভেঙে আসা চারকোল, কোহল
কালো রং, আমি কয়েক টুকরো দাগ

পর্দা বিষয়ে সমস্ত সংশয় একদিন তোমার কেটে যাবে দিগন্ত। দেখ এই শরীর কাচের। এই ইকোসিস্টেম কাচের। তুমি ভেঙে যাওয়ার খবর ইতিমধ্যেই শুনে থাকবে নিশ্চয়ই। আর একটা একটা করে বডিপার্ট, পরিচিত প্রত্যঙ্গগুলি এখন ইথার কণা যেন এমত ভাসিয়ে দিয়ে চিঠি লিখি – হাতচিঠি, ঠোঁটচিঠি, লিভার, কিডনি, মায় যৌনকেশগুলি অব্দি চিঠি হয়ে উড়ে যায়। শব্দ আর অক্ষরের খেলায় হাত মকশো করতে করতে আমি থকে গেছি দিগন্ত। আসলে সবটাই স্কিল, তুমি কীভাবে কর, কাকে কর, কখন মেঘের মধ্যে ভরে দাও কয়েক টুকরো ভণিতার রসকলি

সূর্য ভিজিয়ে দিতে যতটা সময়
ততদূর হাওয়া লেখা হল
তুমি তো শুধুই পারিবারিক 

এ চামড়া দ্রাবিড়। শিরা ও ধমনির গৃহযুদ্ধ টের পাবে না। আসল নকলের এই টানাপোড়েনে আটকে আছে তাঁত। এই রক্ত ধাতুপ্রহারিত। হাঁটতে শেখেনি। বরফের মানুষ নিয়ে এই পুতুল খেলা আমার আর শেষ হবে না দিগন্ত। স্কেচের এই নদীতে এমনিতেই কোনও ঢেউ থাকছে না। তাছাড়া আমিও তো কোনও ধর্মযাজক নই, যে সমুদ্র চিরে বের করে আনব রাস্তা। সে রাস্তাই বল আর পথই বল, এ এক দুরন্ত ধুনকি, পোস্তবীজের থেকে যেদিন প্রথম মানুষ আবিষ্কার করে বসল সেই মাদক, সেদিন থেকেই লাল এক তীক্ষ্ণ রং

Facebook Comments

Leave a Reply