সংযুক্তা পাল-এর কবিতা
মাটির গন্ধ পেলে……
মুহূর্তের নগ্ন বিমোহনে ……………… নিঃশর্ত আনন্দের
এক ব্যাকরণ খুঁজে চলার বিস্ময় …………………
ধার করে নিঃস্ব হচ্ছে শরীরী স্তোত্রময়তা।
ডেকে নিলে গোধূলি বিকেলে সমুদ্র জলে
স্নাত হয় উষ্ণ পৃথিবী।
কৃত্রিমতা হত্যা করে সারল্যের নীল চোখ,
তবুও পৃথিবীর গায়ের গন্ধ পেলে
নিঃশ্বাসে শস্যের ঘ্রাণ লেগে থাকে –
…………… চেতনারা প্রজননক্ষম।
পরিশেষে সব রাস্তা একই দিকে যায়
পরিশেষে সব রাস্তা একই দিকে যায় ;
পেনসিলে আঁকা বাঁকা পথ টেনে
কিংবা রবার দিয়ে মুছে মুছে
পথের সরলরেখা বদলে দেবার ইতিহাস নেই বললেই চলে।
হতবাক কেউ কেউ প্রশ্ন করে
সবাই কি একই দিকে যায়?
কি করে তা হয়?
তারা কি ভুলে গেছে পৃথিবীটা গোল!
এক বিন্দু থেকে শুরু করে ঘুরতে ঘুরতে
ফিরে এসে আবার ঐ বিন্দুতেই এসে শেষ;
মানুষেরও মাথা থেকে শুরু ধরলে পা-এ শেষ
আবার পা থেকে শুরু করলে সেই মাথায় গিয়ে শেষ,
মানেটা এই যে পা থেকে মাথা
আর মাথা থেকে পা এর রাস্তাটা একই;
ঘটনা, বিষয়, মানুষ কিংবা মানুষের মন
স্বতন্ত্রতার নকশা গড়ে দেবে হয়তো
কিন্তু কিছুদূর গিয়ে তা খসে পড়বে দেয়ালের পলেস্তারার মত
আর সেখান থেকে বেরিয়ে পড়বে একের পর এক
আদিম নগ্নতার ধারাবাহিক উপাখ্যান।
কুঁচকোনো ভাঁজ খাওয়া চামড়াটা যে কতখানি সত্যি
বয়সের অতিক্রান্ত হতে থাকার নিষ্ঠুর সমাচার
তা বুঝিয়ে দেবে হাড়ে হাড়ে।
দিনের শেষে ক্লান্ত দুচোখ ভাবে মানুষ ভগবান;
পরিশ্রমী নাটুকেপনার ভিড়ে আসলে সব মস্তিষ্কই যেখানে অলস
হঠাৎ মাঝরাতে সেখানে জেগে ওঠে লুকোনো শয়তান।
Posted in: February 2019, Poetry