অত্রি ভট্টাচার্য-এর কবিতা
অখিলবন্ধু ঘোষের জন্য
আমাকে জানুয়ারির লাল কিতাব ভেবে নিও।
সুবিধে হবে জল দিয়ে মুছে দিতে সব অক্ষর
সংলাপে সংলাপে রেগে গেলে অচল অভিনয়
স্ক্রিন জুড়ে হাসব একদিন তারস্বরে। এটাই লক্ষ্য….
অখিলবন্ধু ঘোষের গান দিয়ে ঘিরে ফেলেছি আত্মাকে।
দুমুঠো সুর দিও। দুপুরে সমস্ত ভবিষ্যি দিয়ে খাবো মেখে….
এই মানুষের সংসারে এক সন্ন্যাসীর মত রাত্রি নেবে আসবে।
আমি একাকী একা টুকরো মন্তাজের মত জেগে….
এদিকে কলকাতার রাস্তায় কিশোরী ফুলেরা
বিশ টাকার বিনিময়ে নিজেকে পোড়াতে রত।
আমি ও আমাদের শতাব্দীপ্রাচীন নিশ্চিত ঘুম
মেট্রোপলিসের সাথে বালিশে বন্দুকে অক্ষত।
বিশ্বাস করো জান। আমার জিভের গোড়ায় জ্বলন্ত গোটা ব্রহ্মান্ড ফোটে…
নিশ্বাসে বিদ্যুৎ উঠুক। শখের পায়রারা বিদ্রোহ করে ওঠে।
নিজস্বী
আমি বিশ্বাস করিনা নিজস্ব বলে কিছু হয়।
যে কিশোরী প্রতি বসন্তে ফোটে কারনেশন হয়ে সেও শুকিয়ে যায় জল না পেয়ে।
অভিনেতার অভিনয় সেও তো ধার করে আনা আয়নাশহরের মুখোশ বিক্রেতার কাছ থেকে।
প্রেমের নাটকীয় সব মুহূর্ত একইভাবে বারবার ফিরে আসে পৃথিবীর প্রসেনিয়ামে।
লেখা যায়না নতুন কিছু। মাটিতে মিশে থাকা শব্দেরা জল হাওয়ায় আগুনে বাক্য তৈরী করে।
একটা লেখা তৈরী হয় জ্যান্ত রক্তমাংসের মানুষের জন্মের মত।
শুধু প্রত্যাখ্যানের ভয়ে আমি ফিরিনা তার কাছে।
ঘড়ি শুধু জেগে আছে বিপ্লব হবে বলে!
Posted in: February 2019, Poetry
ভালো লাগল