আনিস আহমেদ-এর কবিতা

নালেখা ভুলেরা

নসিবে কাটা আঙুল

লিখব না ভাবি আর যতেক আছিল প্যায়তাঁরা

তবু এক হাফমুন থাকে

মাথার ওপরে তাকে পূর্ণ অবয়বে চাইইই….

তুমুল অন্ধকারের পরে যারা আসে

কেউ কেউ অংশত ,কেউ গোটা গোটা

আমাকে মনিব করে রাখে

                          তারা ও তাদের গোলামভর্তি কুঁজো

একটা শব্দ খুন হলেই

রাঙা হয়ে আসে হাফবয়েলের চাঁদ

তবু মনে মনে কত কত রোদ

সূর্যসীমা পেরিয়ে পেরিয়ে আসে তার তুমুল হারমণি….

হরিণের চোখ খুলে

দেখি রিনরিনে দৌড়গুলো ছটপটাচ্ছে পায়ে

এই ব্যথাকে গোপন ক’রে লেখা শূন্য

লিখব না ভাবি আর

লিখব কি আমি কোনো পাথরের ফুল দেখি না

ওরে অনন্ত অনন্তজুড়ানোর দিনে

বনে বনে গাছ ফাঁকা হয়ে আসে কতদূর থেকে

দেখিস পাখির বনবাস

কয়েকহাজার বছর  পুরনো এই শিঁস দেওয়া ডাক

এসব লিখতে গিয়ে লিপ হারিয়ে যায় মনে

ধূ ধূ হাওয়াকে ফলো করতেই

ছুটে আসে ধূলোর বংশসাপ্লারি রেণু রেণু ধূলো

তার ওপরে রাখবো ভাবি জলের নিফিল

এই লেখা

তবু তার চেয়ে দূরে হাঁফায় নির্জন…

Facebook Comments

Posted in: February 2019, Poetry

Tagged as: , ,

Leave a Reply