উমাপদ কর-এর কবিতা
শিরোনামহীন
১৯
ঘরে ফেরার পথে একটা রাস্তা পেলাম
যা আমাকে ঘরেই নিয়ে এল
যদিও ভেবেছিলাম এ কোন মহাপ্রস্থান রে বাবা
রাস্তার স্বভাবই এই কোথাও না কোথাও পৌঁছে দেওয়া
পথ ফুরোতে চায় না অনেক বায়নাক্কা তার
চিতাকাঠ যেমন পথ ফুরোনোর শেষ অংক, যা সহজেই মিলে যায়
খুলে খুলে দেখি রাস্তার তোড়া, ফুল ফুল ভাব
জেদি নয় ভঙ্গুর যথেষ্ট আলগোছে খুলে যায়
তামাম সংসারের আনাচে কানাচে ছড়িয়েও পড়ে
পথ একটাই, ভাসমান, চকিতে ঝিলিক দিয়ে ওঠে
সেইখানে পা সেইখানে পথিক উদ্বিগ্ন শংকিতও
যদি শেষ হয়ে আসে এই মরুপথে যেখানে পথ বলে কোনোকিছুই স্পষ্ট নয়
কোলাকুলি করে দুই-এ জড়িয়ে মড়িয়ে একাকার
আমি শুধু দুটোকে আলাদা করার খেলায় মাতি অসময়ে
২০
যদি তোমার সঙ্গে বদলে নেওয়া যেত নাক মুখ চোখ কান
স্পর্শ পেলে জিজ্ঞাসা করতাম ‘পেয়েছ কি?’
হাসতে হাসতে যেন অনেক দূর থেকে তুমি বুলিয়ে দিচ্ছ আঙুলগুলো
আমার শরীর আর আমাতে নেই
বাঁচতে বাঁচতে শুধু নিরলস বেঁচেই যাচ্ছি
প্রতিটি ইন্দ্রিয় চিনিয়ে দিচ্ছে তাদের স্বতন্ত্রতা
এবার তোমার ফুলে মধু খাক আমার মৌমাছি
আর তোমাকে বন্ধক রাখি তোমারই দেয়া শর্তে
সব বদল হয়েছে যদি, কী নিয়ে থাকি!
দেখতে পাই না শুনতে পাই না
তেতো মুখ, বাতাস এমন নয় যাতে নিশ্বাস নেওয়া যায়
এবার তাহলে নিজেকে সব কিছুর উর্ধ্বে ভাবা যাক
ভাবা যাক তোমাকে বকলমা দিয়ে
আমি চলে যাচ্ছি কোনও এক গভীর অরণ্যে
Posted in: January 2019, Poetry