সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

তিন নম্বর শত্রু ও বর্ণালী

আছি

উচ্চারণ করছি, কখনো কখনো

নিজের উচ্চারণ

নিজের কানে যাওয়া দরকার

নেই

চোখকে এটা জানতেই হয়, বন্ধ হলেই

এরপর পাখা

প্রথমতঃ পাওয়ার প্ল্যান্ট

( পশ্চাতে প্রচুর গল্প যেখানে ঘিলুরা থেঁতলে মিশে যাচ্ছে ধাতুতে আর সুশৃঙ্খলভাবে দুর্ঘটনারা মার্চ করছে)

দ্বিতীয়তঃ প্রকৃতি

(যেখানে খরখরে শিউলিপাতায় গা চুলকোলে শুঁয়োপোকার ভ্রম হয়)

তৃতীয়তঃ চাপ

(যেখানে বুদবুদেরা ব্যক্তিত্বময়)

চতুর্থ পঞ্চম আসার আগেই আসেন তৃতীয় রিপু। এতক্ষণ ছিলো কাণ্ড, এরপর তা প্রকাণ্ডের দিকে। শাখা ও প্রশাখা। বিস্তর বিস্তার। গিঁট ছাড়ানো দরকার নাকি কেটে ফেললেই ভালো হয়? বর্ণালী একমাত্র দরজা। সাদাকালোর কনট্রাস্ট ভেঙে উড়িয়ে দেয়।

গিঁট ব্যাপারটা কিনা বর্ণালী থেকেই শুরু ছিলো

বহতা জল ও রমতা যোগী

ভ্রমের ভ বাদ দিই

রম থেকে যায়

উদ্ভাসে আলস্য জড়ায়, তাকে আলিস্য বলতে ইচ্ছে করে

নো ম্যানস ল্যান্ডে আড়মোড়া ভাঙছে পাশ্চাত্য তরুণী

পাথরের মতো স্তন, শক্ত পাছা

গাছের ওপর থেকে লাফ দিলে

নিচে জল এসে যায়

অথচ ওটা ওড়ার প্রস্তুতি ছিলো

সাঁতারের বাধ্যতা পার হয়ে গায়ে জল লেগে থাকে

একবগগা রক্তমাংস গাছের পরে গাছ

হাতে পালক না গজালে ডাল ধরে ফেলতেই হয়

ঢাল দিয়ে পাথর গড়িয়ে

গাছের কাণ্ড

ফালি

চাকা

ফুটোয় ডাং দেবার আগে অব্দি খেয়াল করিনি

যে ওটা অ্যান্টিক্লকওয়াইজ ঘোরে

Facebook Comments

Leave a Reply