শুভ আঢ্য-র কবিতা
ম্যাড মঙ্ক
১১
আর ধর্মের ভাষায় বৃষ্টি পড়ছে, খ্রীষ্টান বৃষ্টি
এই রাশিয়া জুড়ে… আমাদের গান, কথা কও
আমাদের ফেলে আসা ছাদে জাগা পিটুনিয়া, কথা কও
আর ওই ছায়ার ভেতর তোমাদের ভাষায় ধর্ম কথা বলে,
যীশু কথা বলেন, তিনি বলেন – ‘ছায়ায় আসিও’, আমি
ছায়া দেবো তোমাদের, বাইবেল ছিঁড়ে প্রতিটা গানের
ভেতর ছায়া দেবো আমি, দেবো বৃষ্টিও, অকস্মাৎ
এক সন্ধ্যেয় দেবো পশুদের আওয়াজের ভেতর কথা,
তোমরা শুনবে কি, এলোমেলো? তোমাদের ধর্মের ভেতর
পুরে দেবো গ্লানি, তোমরা কি সরোবর ছেড়ে হাঁসের ডানায় এখন?
এই সব মেয়েদের গান, এই সব যোনিদের ক্ষুধা
ধর্ম খায়, তোমরা কি পেরে উঠবে পিতলের হাতল টেনে
তোমাদের দরোজা বন্ধ করতে? যীশু বলেন – তোমাদের
কবরের গানে পিটুনিয়া সুর, খ্রীষ্টান বৃষ্টি কথা বলে উঠবে
পারবে কি ছিঁড়ে নিতে বাইবেল? পারবে কি তার
ভাষা জাগিয়ে নিতে, পশুদের ডাকের মতো?
১২
যতটা অশিক্ষা আমার ততটাই গতি
তোমাদের কথার গোড়ায় ভোর হয়, পণ্ড হয় রাতের শ্রম
আমি ঘোড়াগুলো দেখি, তাদের নালে পথ বসানো আছে
সে পথ অন্তিমের, বোকা গ্রিশকা আমি, মানুষের থেকে
দূরে, বহু দূরে, অমানুষ, অস্থিসার, মজ্জাসার হয়ে পড়ে
আছি, আমার ইস্কুল নেই, পরিধান ছেড়ে আমি বিতাড়িত
আমার আঙুল জুড়ে রোদের পিয়ানো, আর ফাঁকেফাঁকে
পশুদের ডাক, আহা, সেই অশিক্ষা, সেই গতি
ভয়ানক বড়, তা’তে কুলুপ আঁটা তোমাদের শ্রম দেখি
ঘর বানায়, কাঠ কাটে, রুটি আর মদের ভেতর ঢুকে যায়
ততটুকু চুরি আমি করি, যতটা তস্কর নিজের ছাঁচে
গড়েপিটে নেয় প্রয়োজন, আমার প্রণয় নেই
শুধু তোমাদের থেকে দূরে নিঃসঙ্গ বরফের মাঝে হাঁটা
পোশাকবিহীন – ওই দেখো, জামার বোতামগুলো
আকাশের গায়ে, ওই দেখো শিক্ষা, যা তোমাদের
একে অপরের থেকে আলাদা করেছে, ওই দেখো
ধর্ম, যার নামে তোমরা আমাকে বিধর্মী বলেছ, যতটা
অশিক্ষা আমার, গতি ততটাই, পথও
Related posts:
Posted in: January 2019, Poetry